ঝিনাইদহে নিখোঁজের আটদিন পর মাদ্রাসা শিক্ষক জামায়াত নেতার লাশ উদ্ধার ||

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় নিখোঁজের আটদিন পর মাদ্রাসা শিক্ষক জামায়াত নেতা ইদ্রিস আলী ওরফে পান্নার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ইদ্রিস আলীর বাড়ি উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়ন জামায়াতের  সাবেক আমির ছিলেন।

পরিবারের ভাষ্য, পান্না রঘুনাথপুর গ্রামের হোসেন আলী আলিম মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। একই সঙ্গে তিনি রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ (বিবাহ) রেজিস্ট্রি ও পার্শ্ববর্তী শৈলকূপা উপজেলার মহিষাগাড়ি জামে মসজিদে ইমামতি করতেন।

পুলিশের ভাষ্য, শুক্রবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা সদরের জোড়াপুকুরিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে পথচারীরা পান্নার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, আজ সকালে জোড়াপুকুরিয়া এলাকা থেকে ইদ্রিস আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।  সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় পান্না নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ভাঙা অবস্থায় তার মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, পান্নার বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাসহ অন্তত আটটি মামলা রয়েছে।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান,  পান্না সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে মর্মে চিকিৎসকের কাছ থেকে সদনদপত্র গ্রহণ করেছে পুলিশ।

ওসি আরো জানান, পান্নার লাশ হরিণাকুণ্ডু থানায় আছে। ময়নাতদন্ত করতে লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এরপর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

ইদ্রিসের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত ৪ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ইদ্রিস আলীকে। এ বিষয়ে ৯ আগস্ট স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে ফেরত পাওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল।

Post a Comment

Previous Post Next Post