নোয়াখালীর সেনবাগে অবৈধ মোটরসাইকেল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোটরসাইকেল আটক করায় সেনবাগ থানার ৭পুলিশকে পিটিেিয় ও কিলগুশি মেরে আহত করেছে যুবলীগ কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকেলে সেনবাগ উপজেলা পরিষদেতর গেইটের সামনে।
আহতরা হচ্ছে : সেনবাগ থানার এসআই আমিনুল ইসলাম শিকদার, এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই নুরুল আমিন, কনস্টেবল খালেদ, দিলীপ, তমিজ ও গাড়ি চালক মামুন রশিদ । এদের মধ্যে মামুনকে (৩০) সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেনবাগ থানার ডিউটি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন।
পুলিশ জানায়- বুধবার (৫আগষ্ট ২০১৫) বিকাল ৪টার দিকে সেনবাগ পৌরশহরের থানা মোড়ে সেনবাগ থানার একদল পুলিশ অবৈধ মোরট সাইকেল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে যুবলীগ নেতার ভাগিনা আল আমিনের মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় সেনবাগ উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক আ.স.ম জাকারিয়া আল মামুন, পৌর যুবলীগ আহ্বায়ক রিপন, তারেক, তুহিন, আলাউদ্দিন দেলোয়ার ও সুজন মোটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় সেনবাগ থানার এ সআই আমিনুল ইসলাম সিকদার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স কর্তব্য কাজে বের হয়ে উপজেলা গেইটের সামনে পৌঁছলে যুবলীগের কর্মীরা তাদের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে ও কিলগুশি মেরে তাদেরকে আহত করে। এ সময় খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশের ওপর হমলার খবর পেয়ে নোয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি (সার্কেল-বেগমগঞ্জ) বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে সেনবাগে পৌঁছে ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের অভিযান পরিচালনা করে। রাত ৮টার সময়স এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিলো। তবে কাউকে আটকের খবর পাওয়া যায় নি।
http://www.fns24.com/details.php?nssl=132e0a7afc6812c80743111c6237f12e&nttl=0508201536931