পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্রিটেনে মন্ত্রিসভায় রদবদলের অংশ হিসাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন উইলিয়াম হেগ। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আইএএনএসের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে নিজের টুইটারে এক বার্তায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে আর প্রার্থী না হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন ২৬ বছর পার্লামেন্ট সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসা রক্ষণশীল দলের এই নেতা।

তিনি বলেন, “মে, ২০১৫’র সাধারণ নির্বাচনে এমপি পদে আমি আর দাঁড়াবো না, ২৬ বছর এমপি ছিলাম।”

“রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর ২০১৫’র মে থেকে আমি অন্য যা কিছু সবসময় করতে চেয়েছি সেসব করতে চাই,” টুইটে বলেন তিনি।

হেগ বলেছেন, হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবে তার নতুন ভূমিকার অর্থ হলো- তার রাজনৈতিক জীবনের অবসান।

“২৬ বছর এমপি থাকার পর সরে যাওয়ার এটিই সঠিক সময়,” বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিজের ভূমিকার কথা স্মরণ করে হেগ বলেন, “এখন আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর আবার গুছিয়ে নিয়েছে, মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করেছে, ইউরোপে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব শক্তিশালী হয়েছে। এসব নিয়ে আমি গর্বিত।”

হেগের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই হেগ পদত্যাগ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রবীণ রাজনীতিক কেনেথ ক্লার্ক ও কৃষিমন্ত্রী ওয়েন প্যাটারসনও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন।

এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভ, লিডার অব দ্য হাউস অ্যান্ড্রু ল্যান্সলি, ওয়েলস সেক্রেটারি ডেভিড জোন্সও সরে দাঁড়িয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে ক্যামেরনের মন্ত্রিসভা থেকে ১২ জন সরে যেতে পারেন।

ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের হয়ে ১৯৮৯ সালে ইয়র্কের রিচমন্ড থেকে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন হেগ। ২০১০ সালের মে মাসে তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে চার বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হন।

উইলিয়াম হেগ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাড়ালেও দলকে আবার ক্ষমতার আনার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার প্রশংসায় বলেছেন, “উইলিয়াম হেগ শুধু প্রথম শ্রেণির পররাষ্ট্রমন্ত্রীই ছিলেন না, তিনি একজন বিজ্ঞ পরামর্শক ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।”

এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী দল লেবার পার্টি মন্ত্রিসভার এই রদবদলকে আখ্যায়িত করেছে ‘ম্যাসাকার অব দ্য মডারেটস’ হিসেবে।

উৎসঃ বিডিনিউজ২৪

Post a Comment

Previous Post Next Post