বোরকা নিয়ে কটূক্তি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল: আল্লামা শফী ||

হেফাজতে ইসলামের আমির ও বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাপরিচালক শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর বোরকা তথা হিজাবকে নিয়ে কটূক্তি ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
রবিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে শাইখুল ইসলাম বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাসের ধারা মুছে দিয়ে বর্তমান সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করার কুফল হিসেবেই দেশে স্বঘোষিত নাস্তিক ও মুরতাদচক্র একের পর এক ইসলাম ও ইসলামী বিধানের বিরুদ্ধে বিষোদ্ঘার ও ষড়যন্ত্র করে চলেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু মুরতাদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মহসিন আলী নয়, মন্ত্রিসভা ও সরকারের উচ্চপদে আরো অনেক নাস্তিক স্থান করে নিয়েছে।

ইসলামবিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ নীতি বাতিল এবং সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিকদের বহিষ্কারের দাবি জানান হেফাজত আমির।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে মহাজোট সরকারের বিগত মেয়াদ থেকে দেশে নাস্তিক্যবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি চালুর কুফল হিসেবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিরাও প্রকাশ্যে একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী ও অবমাননাকর বক্তব্য দিতে শুরু করেছে।
আল্লামা শফী বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনেই ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাশ করে স্বঘোষিত ধর্মদ্রোহী লতিফ সিদ্দিকী ও মহসিন আলীসহ ইসলাম অবমাননাকারী সব মুরতাদ ও ধর্মদ্রোহীকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

এ সব ধর্মদ্রোহী ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে বক্তব্য দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

লতিফ সিদ্দিকীর এখনো শাস্তি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে হেফাজত আমির বলেন, এখনো পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় মহসিন আলীসহ নাস্তিক্যবাদীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সামাজিক রীতি-নীতি জানে না, জন সমাবেশে ধূমপান করে এবং বেশ্যাদের পক্ষে উকালতি করে, এমন নির্লজ্জকে মন্ত্রিসভায় কিসের ভিত্তিতে স্থান দেয়া হয়েছে, তা বোধগম্য নয়।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ২ ফেব্রুয়াির ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post