কবি নজরুল ইসলাম কুমিল্লায় একদিন প্রসঙ্গত বলেছিলেন, "খোদার বক্ষে লাথি মার"। এই কথা বলার পর সারা কুমিল্লা উত্তাল হয়ে গেল। মাওলানারা কবিকে কাফের ঘোষনা দিলেন। আরো বললেন, যে মানুষ খোদার বুকে লাথি মারতে পারে সেই বেয়াদবের জায়গা এই দেশে হবেনা। কবিকে বলা হল এর জবাব দিতে হবে।
কবি বললেন, ঠিক আছে আমি জবাব দেব। আপনারা একটি সমাবেশের আয়োজন করেন। আয়োজন সম্পন্ন হল। হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হলো। কবি আসলেন, সবাই কবিকে বেইজ্জত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করল। কবি মঞ্চে উঠে শুধু দুইটি কথা বললেন। তিনি বললেন, খোদা নিরাকার। যে খোদার বুক আছে সেই খোদার বুকে লাতি মারতে বলেছি। কবি মূলত দেব দেবীকে কথাটি বুঝাতে চেয়েছেন।
দুধ বিক্রি করে চা খাওয়া জনগণ আর বেটকায় বেটকায় নুরাণী জর্দা দিয়ে পান খাওয়া মাওলানারা বুঝ পেয়ে গেল। না বুঝে চিল্লিয়ে এককাপ চা তে বিক্রি হয় একমাত্র আমাদের বাঙ্গালীরা।
আমাদের এলাকায় এক লোকের খুব জ্বর উঠেছে। ডাক্তার সেলাইন দিল একটু সুস্থ হওয়ার পর রিক্সা করে কাপতে কাপতে বাড়ী আসার পথে দেখল অনেক লোক একজন চোরকে মারতেছে। এই রোগী অনেক কষ্ট করে রিক্সা থেকে নেমে অনেক জ্যামের মধ্যে ডুকে ঐ চোরকে একটি ঘুসি দিল।
রিক্সাওয়ালা বলল, আপনি ওনাকে কেন মারলেন ? রোগী বলল আমি কিছুই জানিনা। সবেই মারছে তোই আমিও মেরেছি। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে এত কষ্ট করে এই একটি ঘুসি মারার কি দরকার ছিল ? পরে দেখে গেল সে আসলে চোর নয়। আমরা এই রকম হুজুগে বাঙ্গালী।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ করেনি। অস্ত্র হাতে নেয়নি।শুরু হয়ে গেল রাজাকার উপাধি। আজ ৪৫ বছরেও কেউ জানতে চায়নি জামায়াতের বক্তব্যটি কি ছিল। কেউ জানতে চায়নি জামায়াত ইসলাম কেন সেই দিন অস্ত্র হাতে নেয়নি। জামায়াত ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী ছিলোনা। যুদ্ধের কৌশলের বিরুধী ছিল।
অধ্যাপক গোলাম আজম সাহেব শেখ মুজিবকে বলেছিলেন, পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগলিক সীমারেখার যে পার্থক্য এইভাবে কোন দেশ চলতে পারেনা। আমরা আজ না হয় কাল স্বাধীন হবই হব। দয়া করে আপনি গান্ধীর ফাদে পা দিবেন না। শিয়ালের হাত থেকে আমাদের বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না। কারণ শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায়। আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়। শেখ সাহেব আজম সাহেবকে আশ্বস্ত করলেন যে, আপনি কোন চিন্তা করবেন না।
শেখ সাহেব ৭ই মার্চ ভাষণের একদিন আগেও স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু কিছু বাংলাদেশী গান্ধীর ভাড়াটে দালাল শেখ সাহেবকে জোর করে স্বাধীনতা ঘোষণা করালো। এই অগোছালো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কোন আলেম সমাজ মেনে নেয়নি। জামায়াতে
ইসলামী তাদের একটি অংশ। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি মানুষও এই স্বাধীনতা চায়নি। আপনি আপনার এলাকায় যাচাই করুন কয়জন মুক্তিযুদ্ধা আছে।
যুদ্ধ বেজে গেল। পাকিস্তানিরা ভারতের উপর ক্ষেপে গিয়ে পাইকারী ভাবে হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে। ভারত সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। দেখা গেল উভয় পক্ষে মুসলমান মরতেছে আর মজা মারতেছে ভারত। এরই মধ্যে ভারতের অরোরা পাকিস্তানী প্রধান নিয়াজীকে যুদ্ধে বিরতির প্রস্তাব দিল। নিয়াজী মেনে নিল। যুদ্ধ বিরতী হয়ে গেল। ৯৩ হাজার সৈন্যের পরাজয়। এগুলো সবার জানা বিষয়। কিন্তু এই বাস্তব ইতিহাস আজ বিলুপ্ত। এই ইতিহাস আজ হাস্যকর। এই অপরাধে আজ জামায়াত নেতারা ফাসির মঞ্চে।
কবি নজরুলের কথার মত বাঙ্গালীরা কিছু দিন পর বুঝতে শুরু করে জামায়াত ইসলামীর ভাষা। স্বাধীনের পর যখন ভারতীয় সৈন্যদল বাংলাদেশের সব জিনিস লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তখন সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল অস্ত্র উচিয়ে বলেছিলেন, আমাদের আরো একটি মুক্তি যুদ্ধের দরকার।
স্বাধীনের পর শুরু হল ভারতের যুদ্ধের বিনিময়। নয় মাস আগে গান্ধী শেখ সাহেবের সাথে কথা বলতে বুক কাপত। সেই গান্ধী শেখ সাহেবকে ২৫ বছরের গোলামী চুক্তি করালো। এখনো জাতি জানেনা এই গোলামী চুক্তিতে কি লিখা ছিল।
শেখ সাহেবকে গান্ধী বলল ফারাক্কা বাধটি একটু খুলে দেখি শুধু পানির কিউসেক পরীক্ষা করার জন্য। ৭দিন পর আবার বন্ধ করে ফেলব। ৪৫ বছরে হয়ে গেল এখনও ৭ দিন শেষ হলোনা। হঠাৎ আমরা হয়ে গেলাম এক হিন্দু রাজার গোলাম। এই গোলামীর বোঝা বহন করে এখনও চলছি।
এখন কাদের সিদ্দিকি যখন বলে "স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ভুল করেছি"।
অনেক মুক্তিযুদ্ধা যখন বলে "এমন হবে জানলে স্বাধীনতা যুদ্ধ করতাম না"। তখন এটা আপনা আপনিই প্রমাণিত হল যে, ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।
আজ ন্যায্য মুল্যে কেনা আমাদের স্বাধীনতা বিনামুল্যে ভোগ করছে ভারত। এই বাঙ্গালী যেমন চিন্তা না করে কবি নজরুলকে কাফের ডাকল। সেই বাঙ্গালী না বুঝে রাজাকার ডাকা শুরু করল। এমন একদিন আসবে বাঙ্গালী জাতি স্যার গোলাম আজমের কবর ধরে মাফ চাইবে।। হয়তবা সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়!! (Cp)