প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরত বিদ্বেষপূর্ণ, উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে দেশকে ক্রমাগতভাবে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে মিথ্যাকে সত্য, আর সত্যকে মিথ্যা বলে চালিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বেছে বেছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করছে। ক্ষমতার হীন স্বার্থে দেশের জনগণের ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সরকারের আজ্ঞাবহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানাজা, বিবাহ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে জানাজা ও বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করে আবহমানকালের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করছে সরকার। এ সরকারের মধ্যে ধর্মীয়-সামাজিক-মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ বলতে কিছু নেই। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সরকার কখন কাকে গ্রেফতার করে এবং ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে সেই আতঙ্কে জনগণের চোখে ঘুম নেই। কোন পিতা জানে না কখন তার সন্তানকে হত্যা করা হবে, মা জানে না কখন তার কলিজার টুকরা সন্তানের বুকে গুলি চালানো হবে আর স্ত্রী জানে না কখন তার স্বামীকে হত্যা করা হবে। সরকার মানুষের পারিবারিক শান্তি ও সামাজিক নিরাপত্তাকে চরমভাবে বিঘ্নিত করছে।
তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশব্যাপী হত্যা, সন্ত্রাস, গ্রেফতার ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যাবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ হিসেবে প্রচার করে কোন লাভ হবে না। জনগণ জালেম সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমেই ফুঁসে উঠছে। তাই প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে শান্তির পথে ফিরে আসার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানাচ্ছি। গণঅবরোধের পাশাপাশি ৭২ ঘন্টার সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন অব্যাহত রাখার জন্যও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।