অাজ ১২ ডিসেম্বর বিচারিক হত্যাকান্ডের শিকার শহীদ অাব্দুল কাদের মোল্লার শাহাদাতের এক বছর পূর্ন হলো।১২ ডিসেম্বর এদেশের তৌহিদী জনতার হ্রদয়ে রক্তক্ষরণের দিন। সময় যত গড়াবে এ রক্তক্ষরণের পরিমান দিনে দিনে অারো বৃদ্ধি পাবে। মরেও চিরজীবন অমর হয়ে থাকবেন এদেশের ইসলামী অান্দোলনের অন্যতম কিংবদন্তী শহীদ অাব্দুল কাদের মোল্লা। যুগের পর যুগ তার শাহাদাত থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ইসলামী অান্দোলনে সমবেত হয়ে অাল্লাহর দ্বীনের ঝান্ডাকে উচ্চকিত করার অান্দোলনে সমবেত হবে লাখো লাখো তরুন যুবক।শহীদ অাব্দুল কাদের মোল্লা অাজ এক অপরিমেয় শক্তির নাম। এ যেন এক অালোকিত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। যার শাহাদাতের রক্তের প্রতিটি ফোটার শিহরণ অাজ বাংলার অানাচে কানাচে পরিলক্ষিত হচ্ছে। লাখো লাখো তরুন যুবক দ্বীপ্ত শপথ নিয়ে এগিয়ে অাসছে তার জীবনের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে।শহীদের রক্তের এক প্রবল শক্তির প্রভাবে এদেশের প্রতি ইঞ্চি জমীন ধীরে ধীরে সিক্ত হতে চলছে।যার ফলশ্রুতিতে বাতিলের শক্তিতে ইতিমধ্যেই ফাটল ধরতে শুরু করেছে।
শহীদ অাব্দুল কাদের মোল্লার প্রতিফোটা রক্তের শক্তি অাওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে উপলব্দি করতে সক্ষম হচ্ছে।বাংলার মানুষের নতুন ভাবে জাগরণে তাদের ঘোর কাটতে শুরু করেছে।দিন যত যাবে ততই এ বিচারিক হত্যাকান্ড অাওয়ামী লীগকে তাড়িয়ে বেড়াবে। এটি অনেকটা নিজেদের ফাঁদে নিজেরাই পড়ে যাবার মতো। ৩৪৮ দিন পূর্বে কাদের মোল্লার গলায় ফাঁসির রশি ঝুলানোর প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত কারোই এর দায় থেকে মুক্তি পাবার সুযোগ নেই।কারণ বাতাসের গতি সবসময় একই রকম থাকেনা।যে অপরাধ ট্রাইবুনাল করে অাওয়ামী লীগ বিচারিক হত্যাকান্ডের ইতিহাসের সূচনা করেছে সময়ের ব্যবধানে এদেশের মানুষ ভিন্নভাবে এ ইতিহাসের পরিসমাপ্তি টানবে।এই ট্রাইবুনালই এক সময় অাওয়ামী লীগের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে।
বিচারিক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শাহাদাতের পেয়ালা পান করে অাজ বিজয়ের অাসনে অাসীন শহীদ অাব্দুল কাদের মোল্লা। তিনি দুনিয়ায় যেমন সফল ছিলেন তেমনি এ ফাঁসির দন্ড তার অাখেরাতের সফলতাকেও নিশ্চিত করলো। একজন সত্যিকার মুমিনের জন্য এর চেয়ে অার বড় প্রাপ্তি অন্য কিছু হতে পারেনা। কেননা শুধুমাত্র ইসলামী অান্দোলনের অগ্রসেনানী হবার কারণে মিথ্যা অভিযোগে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে।তাইতো তিনি বীরের বেশে ফাঁসির মঞ্চে ছুটে গেছেন। কারণ তিনি জানতেন এরপরেই জান্নাতের শুঘ্রাণ প্রাপ্ত হয়ে তিনি নিজেকে ধন্য করার সুযোগ পাচ্ছেন।
অাব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসিতে যারা উল্লাস করেছে তারা সময়ের ব্যবধানে দুনিয়াও লাঞ্চিত হবে অার অাখেরাতের লাঞ্চনা তো তাদের জন্য অবধারিত।কাজেই অাব্দুল কাদের মোল্লার শাহাদাত তাকে যেমন বিজয়ী করেছে তেমনি তার রেখে যাওয়া অান্দোলনও তার শাহাদাতের কারণে গতিশীল হবে। অন্যদিকে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য যারা প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়েছিল সময়ের ব্যবধানে তাদের পরাজয় তারা বুঝতে পারবে। কারণ সত্যের জয় চিরস্থায়ী অার মিথ্যার জয় ক্ষনস্থায়ী।
Atiqur Rahman
শিবির সেক্রেটারি