কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেওয়া সেই জল্লাদ এখন নামাজ পড়ে

নাম তার "জ" । সে জেলের জল্লাদ আজ অনেক বছর । আজ একজন নিরপরাধ লোকের ফাঁসি তাকে নিজ হাতে দিতে হবে । তার অনেক বুক কাপছে। জেল কতৃপক্ষের লোকজন তাকে ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার জন্য এসেছে । এই এত বছরের জীবনে এরকম অদ্ভুদ ঘটনা সে কখনো দেখেনি। যার জন্য এত আয়োজন সে নিশ্চিন্তে বসে গ্রিন টি খাচ্ছে । বলা হল স্যার , আপনাকে আমরা নিতে এসেছি । তিনি হেসে বললেন , আমি প্রস্তুত । আল্লাহ আর তোমাদেরকে কে সাক্ষি রেখে বলছি , আমি কোনও অন্যায় করিনি । কসাই কাদের আর কাদের মোল্লা এক ব্যক্তি না । সরকার আমাকে অন্যায় ভাবে হত্যা করছে । আমি আল্লাহর কাছে এর পুরো হিসাব নিব ।

আফসোস শুধু আমার জাতিকে আমি এই কথা গুলো বলতে পারলাম না । তারপর তিনি নিজে একটা খেজুর খেলেন, এরপর ওখানে উপস্থিত সবাইকে একটা করে খেজুর দিলেন । তারপর একটু তুলার মাঝে আতর নিয়ে সবার হাতে দিয়ে নিজে মাখলেন আর কানে গুজলেন । তিনি প্রস্তুত তার আল্লাহর সাথে মিলিত হবার জন্য । তারপর তিনি নিজে হেঁটে চললেন মঞ্চের দিকে । জল্লাদ এত লম্বা হবার পরও তার সাথে যাবার জন্য দৌড়ে যেতে হচ্ছে । অদ্ভুত ব্যাপার । কোন শক্তির বলে তার এত সাহস ।

তারপর তিনি জল্লাদকে বললেন, নামায পড় ? না স্যার । এখন থেকে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়বো । তারপর তিনি নিজেই কাল কাপড় পড়লেন । তারপর তাকে তার জীবনের সবচে অপ্রিয় কাজটি করতে হল । এখন সেই জল্লাদ প্রতিদিন নামায পড়ে । সেই মানুষটি তাকে সারা জীবনের জন্য পালটে দিয়ে গেল ।

আপনারা জানেন সেই সাহসী , অকুতোভয় আল্লাহর সৈনিকের নাম.........??
নাম তার শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা । জল্লাদ না জানলেও আমি জানি , আব্বু দৌড়ে কোথায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন ............।

তিনি তো যাচ্ছিলেন সুপ্রশস্ত জান্নাতের দিকে .........যার ওয়াদা আল্লাহ মুমিনদের জন্য করেছেন ।

"হে প্রশান্ত আত্মা!!
তোমরা তোমাদের মালিকের কাছে ফিরে যাও, সন্তুষ্ট চিত্তে ও তার প্রিয়ভাজন হয়ে। অতঃপর তোমরা আমার প্রিয় বান্দাদের দলে শামিল হয়ে যাও। আর আমার অনন্ত জান্নাতে প্রবেশ করো...."

( sick থাকার জন্য চাইলেও অনেক কিছু লিখতে পারছিনা । সবাই দোয়া করবেন ।)

লেখক -  কাদের মোল্লার মেয়ে আমাতুল্লাহ শারমিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post