আপনি মুসলমান হলে ৩টি বিষয়ের উপর বিশ্বাস আনতেই হবে

রসূল তার রবের পক্ষ থেকে তার ওপর যে হিদায়াত নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান এনেছে ৷ আর যেসব লোক ঐ রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে তারাও ঐ হিদায়াতকে মনে-প্রাণে স্বীকার করে নিয়েছে ৷ তারা সবাই আল্লাহকে , তাঁর ফেরেশতাদেরকে, তাঁর কিতাবসমূহকে ও তাঁর রসূলদেরক মানে এবং তাদের বক্তব্য হচ্ছেঃ “ আমরা আল্লাহর রসূলদের একজনকে আর একজন থেকে আলাদা করি না ৷ আমরা নির্দেশ শুনেছি ও অনুগত হয়েছি ৷ হে প্রভু ! আমরা তোমার কাছে গোনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করছি ৷ আমাদের তোমারই দিকে ফিরে যেতে হবে।~ বাকারা -২৮৫

এই আয়াতের মুল শিক্ষা হলঃ

তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত

আপনি মুসলমান হলে উপরের ৩টি বিষয়ের উপর বিশ্বাস আনতে হবে।

মহান আল্লাহ এখানে বিস্তারিত আলোচনায় না করে এই আয়াতে ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস ,রাসুল সাঃ কর্মপদ্ধতি ও এর ফলাফল প্রাপ্তির স্থান আখিরাতের সংক্ষিপ্তসার বর্ণনা করেছেন ।

এই সংক্ষিপ্তসার হচ্ছেঃ

আল্লাহকে, তাঁর ফেরেশতাদেরকে ও তার কিতাবসমূহকে মেনে নেয়া,তাঁর রসূলদের মধ্যে কোন প্রকার পার্থক্য সূচিত না করে (অর্থা কাউকে মেনে নেয়া আর কাউকে না মেনে নেয়া) তাঁদেরকে স্বীকার করে নেয়া এবং সবেশেষে আমাদের কে আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে এ বিষয়টি স্বীকার করে নেয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে ।

এ পাঁচটি বিষয় ইসলামের বুনিয়াদী আকীদার অন্তরভূক্ত।

এই আকীদাগুলো মেনে নেয়ার পর একজন মুসলমানের জন্য নিম্নোক্ত কর্মপদ্ধিতই সঠিক হতে পারেঃ

আল্লাহর পক্ষ থেকে যে নির্দেশগুলো আসবে সেগুলোকে সে কোন অজুহাত বা তাগুতের দূর্বল শক্তির কাছে মাথা নত না করে আল্লাহর গোলাম হিসাবে মাথানত পেতে গ্রহণ করে নিতে হবে।

অদৃশ্য আল্লাহর সুস্পষ্ট দৃশ্যমানবানী কোরানের জ্ঞান মানুষের মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য সেই বিধান গুলোর আনুগত্য করতেই হবে।

নিজের ভালো কাজের ও দুনিয়াবী সন্মান সম্পদ শক্তি অহংকার করেই বেড়াইয়ে অন্যের উপর জুলুম নির্যাতন করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা যাবে না রং আল্লাহর কাছে অবনত হইয়ে ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকতে হবে ।

আমাদের পূর্বপুরুষরা যেই ভাবে মৃত্যুর মাধ্যমে এই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন সেই একই ভাবে আমাদেরকেও ক্ষনস্থায়ী নস্য এই পৃথিবীর সকল রং তামাশা সকল কিছু রেখে এই দুনিয়ার কর্মের ফলাফল ভোগ করার জন্য আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে । সেই আসামীর কাঠগড়ায় কেউ পাবে বেখুসুর খালাস আবার কেউ পাবে কোরানের সুপারিশে জামিন ।আবার কেউ পাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।আখিরাতে দুনিয়ার কর্মকান্ডের ফলাফলে কেউ পাবে অনাবিল শান্তির জান্নাতুল ফেরদাউস আর কেউ অপকর্মের জন্য ভোগ করবে কঠিন আযাব এর চিরস্থায়ী আবাস জাহান্নাম ।

হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না ৷ হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলে ৷ হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই , তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না ৷ আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো৷ তুমি আমাদের অভিভাবক ৷ কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো৷

বাকারা ২৮৬

লিখেছেন সত্যলিখন /২৩ ডিসেম্বর ২০১৪।

Post a Comment

Previous Post Next Post