নব নির্বাচিত শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান এর জীবনী ||

→ জন্ম : লক্ষীপুর জেলার অন্তর্গত ১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয় নগর গ্রামে ১৯৮৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহন করেন।

→ পারিবারিক পরিচয় : পিতা মো: আবু নাছের খন্দকার ও মাতা সাজেদা বেগম। ৩ ভাইয়ের মধ্যে অবস্থান বড়। পিতা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অফিসার। মাতা গৃহিনী।

→ শিক্ষা জীবন : শুরুতে স্কুলে ৫ম শ্রণী পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও পিতার আগ্রহে পরবর্তীতে মাদ্রাসা লাইনে পড়ালেখা করতে হয়। সন্তানকে ভালো আলেম এবং আমল সম্পন্ন মানুষ বানানোর মানসিকতা নিয়েই পিতা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালে লক্ষীপুরে খিলবাইছা রাহমানিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ন হন। দাখিল পাশের পর তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী শাখায় ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০০০ সালে আলিম পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ন হন এবং ২০০২ সালে ফাযিল পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৮ তম স্থান অর্জন করে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ন হন। অত:পর ২০০৪ সালে ঢাকার উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কামিল পরীক্ষায় হাদীস বিভাগ থেকে অংশগ্রহন করে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ন হন। ফিকাহ শাস্ত্র সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে মাদ্রাসা-ই আলিয়া ঢাকায় ভর্তি হয়ে ২০০৬ সালে ফিকাহ বিভাগ থেকে কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ন হন। মাদ্রাসায় পড়ালেখা শেষ করার পরই মূলত: জেনারেল লাইন থেকেও উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার আগ্রহ জন্মে। সে প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকে বি এ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মেধা তালিকায় ৮ম স্থান অধিকার করে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ন হন। ২০১১ সালে ইন্টান্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগাং থেকে এম বি এ (এইচ আর এম) পাশ করেন। ২০১৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ (ইসলামী শিক্ষা) পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মেধা তালিকায় ২০ তম স্থান অধিকার করেন। ২০১৪ সালে আইডিয়াল ল' কলেজ থেকে ২য় বিভাগ পেয়ে এল এল বি ডিগ্রীও অর্জন করেন। বর্তমানে এমফিল গবেষক হিসেবে অধ্যয়ন করছেন।

→ সাংগঠনিক জীবন : ১৯৯৫ সালের শুরুর দিকে ৮ম শ্রেনীতে পড়ালেখা অবস্থায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের দাওয়াত প্রাপ্ত হন। পরের বছর ১৯৯৬ সালের আগষ্ট মাসে সংগঠনের কর্মী হন। ১৯৯৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাথী শপথ গ্রহন করেন। আর ২০০২ সালের ২৫ আগষ্ট সদস্য শপথ গ্রহন করেন। ২০০৯ সাল থেকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অাসছেন। দীর্ঘ সাংগঠনিক জীবনে বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন। সদস্য হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত উপশাখা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভাপতি সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। নিম্নে উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব পালনের বিবরন দেওয়া হল :

১. বাড্ডা থানা সেক্রেটারী - ২০০২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৩ পর্যন্ত।
২. বাড্ডা থানা সভাপতি - ২০০৪ ও ২০০৫ সেশন।
৩. অফিস সম্পাদক, ঢাকা মহানগরী উত্তর - ২০০৬ সেশন।
৪. সেক্রেটারী, ঢাকা মহানগরী উত্তর - ২০০৭ ও ২০০৮ সেশন।
৫. সভাপতি, ঢাকা মহানগরী উত্তর - ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের
জুলাই পর্যন্ত।
৬. কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক - ২০১০ আগষ্ট থেকে ২০১১ জুলাই পর্যন্ত।
৭. কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক - ২০১১ আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৮. কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক - ২০১২ ও ২০১৩ সেশন।
৯. সেক্রেটারী জেনারেল- ২০১৪ -১৫সেশন।

Post a Comment

Previous Post Next Post