যুগে যুগে যারাই মানুষকে দ্বীনে হকের দাওয়াত দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে জুলুম-নির্যাতন নেমে এসেছে - মোল্লা নাজিম ||

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
৭ই মার্চ ২০১৬, রোজ সমবার কক্সবাজার শহরের পৌরসভা মার্কেট চত্বরে তাফসীর মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মুফাচ্ছির হযরত মাওলানা মোল্লা নাজিম উদ্দিন বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন নতুন কিছু নয় বরং এসব ইতিহাসেরই ধারাবাহিকতা। যুগে যুগে যারাই মানুষকে দ্বীনে হকের দাওয়াত দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে জুলুম-নির্যাতনের খড়গ নেমে এসেছে। তাই সকল জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করেই ইসলামী আন্দোলনের কাজকে বেগবান করতে হবে। সমবার কক্সবাজার শহরের পৌরসভা ইয়ং সোসাইটি কতৃক আয়োজিত তাফসীর মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মোল্লা নাজিম বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের শিকার। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখে। মানুষের জান-মাল ও ইজ্জতের কোন নিরাপত্তা নেই। একদিকে যেমন শিক্ষাঙ্গনগুলোতে অব্যাহত সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে বৈষম্যমুলক শিক্ষানীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিচারের নামে অবিচার ও অপরাজনীতির মাধ্যমে সুকৌশলে চলছে জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করার কাজ। আর এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কর্মকান্ডের বিরোধীতা করতে গিয়ে বাতিল শক্তির প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে এদেশের মুসলমান  ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন। এ অবস্থায় আমরা যারা মুসলমান আমাদেরকে আরও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা জানি সত্য পথে চলার পথ কখনো সহজ হয়না। পদে পদে বিপদের সম্মুক্ষিন হতে হয়। এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। আর আমরা এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই সত্যকে বিজয়ী করার শপথ নিতে হবে।

সুতরাং বাতিলের সকল অপতৎপরতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। দক্ষতার সাথে বাতিলের প্রতিটি বাঁধার পাহাড়কে অতিক্রম করতে হবে। যত বাঁধাই আসুক, লক্ষ্য থেকে মুসলমান একচুল পরিমান পিছু হটবে না। এক্ষেত্রে আমাদেরকে কোরআন ও হাদীস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে  যোগ্যতা ও দক্ষতাকে সকলের কল্যাণে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে।
তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

আলহাজ্জ্ব মোস্তাক আহম্মেদের সভাপতিত্বে তাফসীর মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান (মাবু) ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

Post a Comment

Previous Post Next Post