ইজতেমায় ফুটপাতে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সৈকত নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে হাতেনাতে আটক করেছে।
ইজতেমার পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, আখেরী মোনাজাতের পর ছাত্রলীগ কর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্থানীয় মধুমিতা রোড এলাকায় ফুটপাতের প্রতি দোকান থেকে এক শ থেকে দুশ টাকা করে চাঁদা আদায় করছিল। পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে চাঁদা উত্তোলনে বাধা দেয়। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ৭-৮ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তিন পুলিশ সদস্যকে ধরে জোরপূর্বক একটি গলির ভেতর নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এই খবর পৌছলে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থে গিয়ে আটক পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
এসময় পুলিশ ছাত্রলীগ টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সদস্য সৈকতকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। সৈকতকে প্রথমে ইজতেমায় পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত নিজেকে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সদস্য দাবী করে পুলিশের কাছে তার সহযোগীদের নামও প্রকাশ করেছে। তারা হল টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নাঈম, থানা ছাত্রলীগের সদস্য শাকিল, রনি, মানিক, শহিদুল।
http://www.taza-khobor.com/bd/bangladesh-local-news/61454-2016-01-10-15-56-05?q=12