জামায়াতের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা প্রদান, গুলি ও গ্রেফতারের ডা. তাহেরের তীব্র নিন্দা ||

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতের জনসভায় হামলা চালিয়ে ৬জন নেতা-কর্মীকে হত্যাকারী খুনীদের বিচারের দাবীতে ঘোষিত আজ ২৮ অক্টোবর দেশব্যাপী জামায়াতের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বাধা প্রদান ও লাঠিচার্জ এবং ঢাকা মহানগরীর মীরপুর থেকে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জনাব জনাব মোবারক হোসাইনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের।

আজ ২৮ অক্টোবর ’১৫ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,“জামায়াতের ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা প্রদানের মাধ্যমে সরকারের একদলীয় ফাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াতের সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা দিয়ে হামলা চালিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৬জন নেতা-কর্মীকে হত্যাকারী খুনীদের বিচারের দাবীতে আজ ২৮ অক্টোবর সরকারের বাধা উপেক্ষা করে জামায়াত সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে। সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়ে দেশের আইন ও সংবিধান লক্সঘন করেছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার অন্যায়ভাবে এ অধিকারে বাধা দিয়েছে। ঢাকা মহানগরীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে মিছিল করে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জনাব মোবারক হোসাইনকে গ্রেফতার করেছে। ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ জামায়াতের মিছিলে হামলা চালিয়ে ৮ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে ও দুইজনকে আটক করেছে। মীরপুরের পীরেরবাগ থেকে জামায়াতের ৮জন কর্মীকে, বগুড়া সদর উপজেলা থেকে স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুল হাসিব বেগকে এবং মোকামতলা থেকে স্থানীয় জামায়াত নেতা ফেরদৌস আলম ও তোফাজ্জল হোসেন, রংপুর শহরে ২ জন, রংপুর জেলায় ৯ জন, নীলফামারীতে ২ জন, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য জনাব সাদেক আহমাদসহ ১ জন কর্মী, সুনামগঞ্জে একজন, মাদারীপুর জেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী জনাব খলিলুর রহমানকে ও ফেনীতে ১ জন জামায়াত কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এভাবে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে বাধা দিয়ে সরকার জামায়াতের উপর চরম জুলুম করেছে।

ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে বাধা দিয়ে জনগণের আন্দোলন কখনো বন্ধ করা যাবে না। জনসমর্থন হীন সরকার শক্তির জোরে ক্ষমতায় আকঁড়ে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও ফ্যাসিবাদী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জনাব মোবারক হোসাইসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”

www.facebook.com/voiceofsenbag

Post a Comment

Previous Post Next Post