সেনবাগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টা কালে সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী অস্ত্রসহ আটক ||

নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন সোহেলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় অস্ত্রসহ আটক করে সেচ্চাসেবক লীগের কর্মী আব্দুল করিম সহেলকে। স্থানীয় জনতা সেচ্চাসেবক লীগের কর্মী আব্দুল করিম সহেলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ্দ করে।

ঘটনাটি  ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে। আটক কৃত যুবকের নাম আব্দুল করিম সহেল (৩০)। সে নবীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের উলাল মাঝি বাড়ীর আবদুল মতিনের ছেলে। সে নিজেকে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের একজন সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার সময় ইউপি কার্যালয়ে আমার ইউপি সদস্য আবদুল লতিফকে নিয়ে পরিষদেরর ভিতরে কাজ করছিলাম হঠাৎ আমার কক্ষে এ যুবক প্রবেশ করে কোমর থেকে একটি পিস্তল বের করে আমার মাথায় ঠেকায়ে আমাকে গুলি করার চেষ্টা  করে। এমন সময় পরিষদে অবস্থানরত ইউপি সদস্য আবদুল লতিফ পিস্তলসহ তার হাত উচঁ করে ধরে শোর চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে পিস্তলসহ সন্ত্রাসী সোহেলকে আটক করে এবং পরে পুলিশে সোর্পদ্দ করে।

এ ঘটনার সময় দস্তাদস্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে আঘাত লেগে তিনি আহত হন। পরে পুলিশ একটি বুলেটভর্তি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী সোহেলকে আটক করে  থানায় নিয়ে আসে। থানায় আনার পর এস. আই মধুসুদন সরকার সন্ত্রাসী সোহেলের মানিব্যাগ চেক করে ২ পিজ ইয়াবা ও এক পোলটা গাঁজা পায়। অপর দিকে সন্ত্রাসী সোহেলের শাস্তির দাবীতে নবীপুর ইউনিয়নের শত শত মানুষ মিছিল সহকারে রাত ৯টায় সেনবাগ থানায় ভীড় জমায়।

সেনবাগ থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উক্ত ঘটনায় সেনবাগ থানায় এক টি মামলা হয়েছে।

সেনবাগ প্রতিনিধি/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ

Post a Comment

Previous Post Next Post