'জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না' ||

জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলে সাবধান করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁওয়ে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, “সরকার মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে জামায়াত নেতাদের এক এক এক করে হত্যা করছে। সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার জামায়াত। সরকার মূলত জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত।”

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র হত্যাকারী, ভোটাধিকার হরণকারী, মানবাধিকার লঙ্ঘণকারী। এই সরকার দেশ ও জনগণের দুশমন। সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়ে জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার পথ অবলম্বন করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করে ও জেলে রেখে দেশকে রাজনীতি শূন্য করার ষড়ডন্ত্র করছে। সরকারের অনুগত মিডিয়ার মাধ্যমে জামায়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পরিবেশ ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের জনগণ সরকারের এই ঘৃণ্য অপচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে।”

সবাইকে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “রমযানের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জালেম সরকারের বিরুদ্ধে শিশাঢালা প্রাচীরের মতো ঔক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। গণতন্ত্র উদ্ধার, মানুষের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সফল করে তুলতে হবে।”

সরকারের সমালোচনা করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বত্রই আতঙ্ক, অসস্তি, উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অপরাধ দমনের পরিবর্তে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার ও হয়রানির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা ধর্ষণের মতো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।”

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি ইফতারের পরে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান কবি আল মাহমুদ, ২০ দলীয় জোটের শরীক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রহিম বীর প্রতিক, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্ণেল অব. অলি আহমেদ, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেযারম্যার আব্দুল লতিফ নেজামী, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোতুর্জা, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি ফায়জুল হক, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ব্যারিস্টার সানাউল্লাহ মিয়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা অংশ নেন।

জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা যায়নুল আবেদিন, আমিনুল ইসলাম, ডা. রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী, মতিউর রহমান আকন্দ, রফিক-উন-নবী, মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া, মোবারক হোসেন, আবদুর রব, খন্দকার মশিউল আলম, সাবেক শিবিরের সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জাহিদুর রহমান।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ছেলে আলী আহমাদ তাহকীক, আলী আহসান মাবরুর, আবদুল কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল, কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/২৫ জুন ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post