নোয়াখালী : জেলা শহর মাইজদীর সিনেমাহল এলাকায় পুলিশের গুলিতে ওমর ফারুক চৌধুরী (২৩) নামে এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ২জন ও গ্রেফতার হয়েছে ২ জন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সিনেমাহল এলাকার মফিজ প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওমর ফারুক চৌধুরী নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের নুরুল আলমের ছেলে। তিনি নোয়াখালী পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড শিবিরের উপশাখার সভাপতি ও শিবিরের সাথী। তিনি নোয়াখালী পাবলিক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন-সদর উপজেলা একাব্বরপুর গ্রামের নুরুল কাদের ছেলে রাছেল (২৪) ও শহরের মাইজদী বাজার এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. রাকিব (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল রাখার প্রতিবাদে শহরের সিনেমাহল এলাকায় একটি শান্তিপুর্ণ মিছিল বের করে শিবিরের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের মফিজ প্লাজার সামনে আসলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা অপেক্ষা করে মিছিল করতে চাইলে পুলিশ শিবিরের মিছিল লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলি ওমর ফারুকের মাথায় লাগে এবং সাথে সাথে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত শিবিরকর্মী ফারুকের মৃত্যু হয়।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলির ফাঁকা শব্দ করেছে। আহত দুই শিবিরকর্মী আটক রয়েছে।
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদ উদ্দিন জানান, নিহত যুবকের মাথায় আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া আঘাতের চিহ্ণটি নির্ণয় করা যাবে না। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাকিব নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেলা প্রতিনিধি/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ০৬ এপ্রিল ২০১৫।