সেনবাগ: হরতাল ও অবরোধ কে পুজি করে সেনবাগে পরিবহন সেক্টরে চলছে ব্যাপক অনিয়িম। ফলে সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে যাত্রীরা। এ নিয়ে যাত্রী ও অটোরিকশার শ্রমিকদের মধে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চালকরা।
জানা গেছে, ২০দলের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও দফায় দফায় হরতালের অজুহাত দিয়ে সেনবাগ-কানকিরহাট, সেনবাগ-রাস্তারমাথা, কানকিরহাট থেকে ছাতারপাইয়া বাজার, রাস্তারমাথা থেকে চন্দেরহাট, সেবারহাট থেকে নবীপুর বাজার, ছমির মুন্সিরহাট থেকে কুতুবেরহাট, সেনবাগ পৌর শহর থেকে ছিলোনিয়া বাজার সহ বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। তাদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কাছে যাত্রী সাধারনকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বিগত কয়েক মাস ধরে হরতাল-অবরোধ চলাকালীন উপজেলার সিএনজি অটোরিকসা সহ সকল যানবাহন নিরীহ যাত্রী সাধারনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। অটোরিকশা সিএনজি গুলো হরতাল অবরোধে কোন প্রভাব না থাকায় ঝুঁকি ছাড়া পূর্বের সময়ের মতই র্নিবিগ্নে চলাচল করছে। যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ১০-২০ টাকার ভাড়া তারা ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। ফলে যাত্রীরা চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছে পথে পথে।
হরতাল অবরোধের প্রথম কিছু দিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি অটোরিকসা চলাচল না করলেও ফেব্রুয়ারী মাস থেকে বিভিন্ন সড়কে অটোরিকসা সিএনজি গুলো চলাচল করছে হর দমে। নাম মাত্র হরতাল অবরোধের এই সুযোগে তারা বেপরোয়া হয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। দুর পাল্লার পরিবহন গুলোর ও একই অবস্থা। কানকিরহাট থেকে ঢাকা গামী যাত্রীসেবা নামে কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে কানকিরহাট-চট্রগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাসগুলো ও প্রায়ই যাত্রীদের ভাগবিতান্ডের ঘটনাও ঘটে থাকে। এতে করে যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছে।
কিন্তু বর্তমানে সরকারী ভাবে কোনো তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষনা না দেওয়া হলেও গাড়ীর মালিকরা তাদের মনগড়া মত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারনে অসহায় হয়ে পড়েছে যাত্রীরা।
এ বিষয়ে সিএনজি অটোরিকশার কয়েকজন মালিক জানায়, হরতাল-অবরোধের কথা বলে কতিপয় ড্রাইভার-হেলপার গাড়ির মালিকদের সাথে কোনো আলোচনা-পরামর্শ না করে নিজেরাই একটু বেশি ভাড়া আদায় করছে অথচ মালিকদের জমা আগের মতই।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ৫ এপ্রিল ২০১৫।