বিগত অক্টোবর ২০০৮ সালে দুবাইয়ের ন্যাশনাল ঈদ গ্রাউণ্ডে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হোলি কোরআন এ্যাওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক আয়োজিত আল্লামা সাঈদীর বিশাল তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আরব আমিরাতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শায়খ মোহাম্মাদ বিন রাশেদ আল মাকতুম। মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এটি ছিলো উল্লেখযোগ্য গণজমায়েত। উপস্থিত অর্ধলক্ষাধিক দর্শক- শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিলো 'পবিত্র কোরআনের বিজ্ঞানময় মু'জিজা'।
দুবাই সরকার তাঁর দুই ঘন্টার উক্ত বক্তব্য সিডি, ভিসিডি করে বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। অনুরূপ তাফসীর মাহফিল হলো সাউদী আরবের রাজধানী রিয়াদ, জেদ্দা, তায়েফ, দাম্মাম এবং পবিত্র মক্কা ও মদীনায়।
একই ধরনের তাফসীর মাহফিল হলো গ্রীসের রাজধানী এথেন্স নগরীর আলেকজান্দ্রা ষ্টেডিয়ামে, ইটালীর রাজধানী রোমে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে, পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে, জার্মানীর রাজধানী ফ্রাঙ্কফুটে, জাপানের রাজধানী টোকিওতে, কোরিয়ার রাজধানী সিউলে, অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে, থাইল্যাণ্ডের রাজধানী ব্যাংককে, সিঙ্গাপুরে, ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং কুুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবগুলো দেশে।
আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে অগণিত জনতার উপস্থিতির দৃশ্য সেসব দেশের টিভি চ্যানেলগুলোয় সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে।
একই ধরনের মাহফিল হয়েছিলো আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের সামনে ৪২ নং সড়কে (এমলর্রহ রণডমভঢর্ররণর্ণ) এবং আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনসহ উক্ত দেশের ২২টি অঙ্গরাজ্যে। ইউরোপের ইংল্যাণ্ডের রাজধানী লণ্ডনসহ গ্রেটবৃটেনের প্রায় সবগুলো শহরে তিনি বিগত ত্রিশ বছর ধরে মাহফিল করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি দেশে তিনি সফর করেছেন। এভাবে দক্ষিণ গোলার্ধের অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণ ইউনিভার্সিটিতে, উত্তর গোলার্ধের কানাডার টরেন্টো ও মন্ট্রিয়েল ইউনিভার্সিটিসহ পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের অন্তত অর্ধশত দেশে তিনি মাহফিল করেছেন।
১৯৯১ সনে আমেরিকার পেনসিলভিনিয়া ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মাওলানা সাঈদীকে ' আল্লামা' খেতাব প্রদান করা হয়।
'৮০ এবং ৯০ এর দশকে সাউদী বাদশাহ ফাহাদ বিন আব্দুল আযীয আল্লামা সাঈদীকে রাজকীয় মেহমান হিসেবে দুইবার হজ্জ করিয়েছেন। ১৯৯১ সনে ইরাক- কুয়েত যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মক্কা শরীফে একটি মিমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বের চারশত স্কলারদের দাওয়াত দেয়া হয়, সাউদী বাদশাহ উক্ত বৈঠকেও আল্লামা সাঈদীকে রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে উপস্থিত রেখেছিলেন।
দেশে-বিদেশে ইসলামের পক্ষে সকল শ্রেণীর মানুষের অভূতপূর্ব এ গণজোয়ার দেখার পর থেকেই আল্লামা সাঈদীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইর্ষান্বিত হয়ে দেশী- বিদেশী মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগের ঝড় তোলে।
তাঁর বৈজ্ঞানিক যুক্তিভিত্তিক, তথ্য নির্ভর আকর্ষণীয় আলোচনায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর মাহফিলে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, জাতি-ধর্ম দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও পেশার অগণিত মানুষ।
আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে শুধু মুসলমানগণই অংশ গ্রহণ করে না, অসংখ্য অমুসলিম নারী পুরুষ তাঁর মাহফিলে অংশ গ্রহণ করে ইসলাম কবুল করেন। দেশে-বিদেশে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক অমুসলিম আল্লামা সাঈদীর হাতে ইসলাম কবুল করেছেন।
ইসলামী জীবনাদর্শ যাদের পছন্দ নয় বরং অসহ্য, তারাই দেশে-বিদেশে পরিচিত সমাদৃত ও শ্রদ্ধেয় আল্লামা সাঈদীকে জনবিচ্ছিন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে তাঁকে রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ও সবশেষে যুদ্ধাপরাধী বানানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বহুমুখী ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনুযায়ী প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মিথ্যা, বানোয়াট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব জঘন্য ষড়যন্ত্র মাকড়সার জালের মতো ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে ইন্শাআল্লাহ।
দেশ প্রেমিক শন্তিকামী দ্বীন দরদী অসংখ্য মুসলিম নরনারী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিনয়াবনতভাবে একাগ্রচিত্তে সে দোয়াই করছে।
লেখক- এডমিন দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ০৪ মার্চ ২০১৫।