সেনবাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রেহাই পাচ্ছেনা আ.লীগের দলীয়করন ও দূর্নীতি থেকে ||

সেনবাগ নোয়াখালী প্রতিনিধি : সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র ফেনী-সোনাইমুড়ী সড়কে গাজীরহাট বাজারে সুন্দর মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ১৯৭২ সালে গাজীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে স্থান পায় আ.লীগের লোকজন। আর সেই সুবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী পর্যন্ত দলীয়করণে পরিনত করে ফেলে। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরর পরীক্ষার ফ্রি থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি ব্যক্তি বিশেষের অনুদানেরর অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে ভাগভাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলে।

এসবের সাথে জড়িত স্থানীয় কিছু আ.লীগের দুর্নীতিবাজ নেতা কর্মী ও থানা ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা কর্মী। যাদের নাম উল্লেখ না করলে নয়। স্থানীয় ভাবে রয়েছে ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বাকের আহম্মদ বাকের, গাজীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এ বি ছিদ্দিক সাহেবের ছেলে স্বপন, কন্টেকটর ইয়াছিন, সোলেমান, আবদুর রব, নুরনবী, কচি, গাজীরহাট বাজার মুদি দোকানদার ভূঁইয়া প্রমুখ। থানা লেভেলে রয়েছে সাবেক ছাত্রলীগেরর সভাপতি গোলাম কবির, আলো, গচা রতন, বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু প্রমুখ।

আমাদের নোয়াখালী প্রতিনিধি গাজীরহাট বাজার ও তার আশে পাশে সরেজমিন ঘুরে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে দীর্ঘ দিন ধরে আ.লীগের এ দুর্নীতিবাজ মহলটি শুধু গাজীরহাট নয়, ডমুরুয়া বালিকা বিদ্যালয়, মুটুবী সিনিয়ার মাদ্রাসা সহ এলাকার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান মসজিদ মোক্তবের বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর ও ব্যক্তি বিশেষের অনুদানের অর্থ স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় থানা লেভেলের নেতা কর্মীদেরকে দিয়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বেশ কিছুদিন আগে গাজীরহাট বাজার পোষ্ট অফিসের জন্য সরকারি ভাবে একটি অনুদান আসে, কিন্তু পোষ্ট মাষ্টারকে  হাত করে সেই অনুদানের অর্থও খেয়ে ফেলে। যদি বিশ্বাস না হয় গাজীরহাট পোষ্ট অফিস এবং পোষ্ট অফিসেরর চিঠি ফেলার বাক্সটা দেখে আসার অনুরোধ রইল। বাক্সটা কোথায় ? পোষ্ট অফিস কোথায় ?

এলাকাবাসী দীর্ঘ দিন তাদের এসকল কর্মকাণ্ড দেখে চিন্তা করেছে তাদের মধ্যে একদিন পরিবর্তন আসবে, ভালো লোক পরিচালনা কমিটিতে স্থান পাবে, যার দ্বারা বিদ্যালয়ের উন্নতি হবে, দুর্নীতি মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, দলীয়করণ মুক্ত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নোয়াখালী জেলাতে পরিচিতি লাভ করবে। এলাকাবাসীর সেই প্রত্যাশা মোটা মুটি ভাবে এগিয়ে চলছিলো।

গত দুই বছর আগে পরিচালনা কমিটিতে পরিবর্তন আসে স্থানীয় এক শিল্পপতি ভলু পাটোয়ারীর। ভুলু পাটোয়ারী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয় কিছুটা হলেও উন্নতির মুখ দেখেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের যে নতুন ভবনের কাজ হচ্ছে তাও ভুলু পাটোয়ারীর অবদান। অস্বীকার করার কিছু নাই ভুলু পাটোয়ারী পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর অভিবাবক কমিটিতে জামায়াতে ইসলামীরও একজন সদস্য কমিটিতে স্থান পায়। যার কারনে আ.লীগের দুর্নীতিবাজদের সকল অপকর্ম ধরা পড়ে যায় এবং সর্বশেষ ২৬ শে মার্চ ২০১৫ মহান স্বাধীনতা দিবসে আ.লীগের নোয়াখালী ২ সোনাইমূড়ী সেনবাগ আসনের ভোটবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি মোর্শেদ আলমের ছেলে দীপুকে পুণরায় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করায় দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আ.লীগের এ ধরনের নোংরা রাজনীতি করা উচিৎ নয়। এতে করে বিদ্যালয়ের উন্নতি ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। ছাত্রছাত্রীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। এ অবস্থায় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে দলীয়করণ ও দুর্নীতি মুক্ত সৎ যোগ্য  পরিচালনা কমিটি গঠন করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

এম এ এইচ মিল্লাত/সেনবাগ নোয়াখালী প্রতিনিধি/দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ২৫মার্চ ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post