আমি আ'লীগ করি, আমার বড় ভাই যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মুরাদ পেট্রোল বোম নিক্ষেপকারী গ্রেপ্তারকৃত মুন্না ||

চট্টগ্রামে পেট্রলবোমা, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছয় ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার গভীর রাতে নগরীর টাইগার পাস রেলওয়ে কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

মঙ্গলবার সকালের দিকে নগরের হালিশহরে বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিওন সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে আটকের এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পরিচালক মেজর সাব্বির আহমেদ। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, ওসমান গনি, মো. আবুল কালাম, মো. হারুন মিয়া, মো. শরীফ খান ও মো. মুন্না। বিজিবির সংবাদ সম্মেলনে সুযোগ পেয়ে মুন্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি। আমি নিরীহ। এটা আমাকে হয়রানি করা (হচ্ছে)।’

ණএগুলো (অস্ত্র, বোমা) তো পেয়েছে আপনাদের কাছে? –এমন প্রশ্নে তিনি দাবি করেন, ‘না এগুলা আমাদের কাছে পায় নাই। আমাকে বাসা থেকে ডাকি আনছে।’ মুন্না অভিযোগ করেন, তাঁর বড় ভাই যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মুরাদের মৃত্যুর পর একটি চক্র তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে। তিনি বলেন, যুবলীগ একাংশের নেতা মামুন, মাসুম, আলী, খোকন চন্দ্র তাতী, ইদু ও সুমন তাঁদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিজিবির কাছে ধরিয়ে দিয়েছে।

মুন্নার এই দাবি সম্পর্কে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের রেলওয়ে–সিআরবি এলাকায় অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। সেখানে বিবদমান গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শোনা যায়। এ ক্ষেত্রেও তেমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আটক ব্যক্তিরা নাশকতার উদ্দেশ্যে এসব সরঞ্জাম জড়ো করছিল বলে জানান মেজর সাব্বির আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ৩০ সদস্যের একটি দল অভিযান চালিয়ে টাইগারপাস রেলওয়ে কলোনি এলাকা থেকে আটটি পেট্রলবোমা, দুটি ককেটল, তিনটি রামদা, সাতটি কিরিচ, নয়টি লোহার পাইপসহ ছয়জনকে আটক করে। রেলওয়ের জায়গা দখল করে এসব অপরাধী কয়েকটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত বৈঠক করে পরিকল্পনা করত। সরকারি বাসা মুন্না কিভাবে ভাড়া নিয়েছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর তানভির মাহামুদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরে বড় ধরনের নাশকতা করতে এসব পেট্রলবোমাসহ নানা সামগ্রী আনা হয়েছে। এদিকে, বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিওন সদর দপ্তরের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল করিম এনটিভিকে জানান, বিজিবির টহল জোরদার করায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতা কমে এসেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post