মাতৃভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ শুধু ভাষার অধিকারই প্রতিষ্ঠা করে নাই, বরং সকল জুলুম, নির্যাতন ও অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদেরা আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসছে। সুতরাং এবারও গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জনতার বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।
মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভাষা সৈনিক মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম ঐতিহাসিক যে অবদান রেখেছে, এ জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করবে। পাশাপাশি দেশের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য তিনি কেয়ার-টেকার সরকারের যে ফর্মুলা দিয়েছেন, তা দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। অথচ আওয়ামীলীগ সেই পদ্ধতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন নিয়ে কেয়ার-টেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে গোটা দেশে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমের উপরে চালিয়েছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা ও পেেেট্রাল বোমা মেরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করার মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে আওয়ামীলীগ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বীর জনতা তাদের সকল অপকৌশল রুখে দিয়ে আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত করবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আজ শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারে রমনা থানা জামায়াত আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
থানা জামায়াতের সেক্রটারী জিল্লর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রিয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক শাহ মাহফুজুল হক, থানা জামায়াত নেতা ইউসুফ আলী, আতাউর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, খন্দকার রুহুল আমীন, আকতার হোসাইন ও মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।