মিরপুর পুর্ব থানার সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম হত্যায় শিবিরের প্রতিবাদ ||

শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে ফেরার পথে পুলিশ হাতে আটকের পর গভীর রাতে গুলি চালিয়ে রাজধানীতে ছাত্রশিবির মিরপুর পুর্ব থানার সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

আজ (রোববার) শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারির বরাত দিয়ে এই পাঠানো প্রতিবাদ বার্তায় বলা হয়, ফ্যাসিষ্টদের নির্দেশে জল্লাদের মত মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রতিবাদ বার্তায় শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান আরও বলেন, রাজধানী মিরপুর পুর্ব থানা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে গুলি করে খুন করেছে ডিবি পুলিশ।

প্রেস বার্তায় আরও বলা হয়, নির্বিচারে হত্যা, গুলি, নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল (শনিবার) সকাল ৮ টায় রাজধানীর শ্যামলীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখা শিবির। সেখান থেকে ফেরার পথে লেগুনা থেকে নামিয়ে মিরপুর পুর্ব থানা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন হাওলাদারসহ ৪ জনকে আটক করে শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

শিবিরের প্রতিবাদ বার্তায় আরও বলা হয়, শ্যামলীতে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৪ জন আটকের এ খবরটি সকল টিভি চ্যানেলসহ সব মিডিয়াতেই ফলাও করে প্রচার করা হয়। এরপর চার জনকে থানা থেকে ডিবিতে নিয়ে যাওয়া হলে সংগঠন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়া হয় যা গতকালই বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।

এতে আরও বলা হয়, কিন্তু এরপরও নিরপরাধ জসিম উদ্দিনকে রাতের অন্ধকারে কোন এক সময় ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু নির্লজ্য মিথ্যাচার করে পুলিশ রাষ্ট্রীয় এই খুনের ঘটনায় বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজায়।

নিহত জসিম উদ্দিনের পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক,জসিম উদ্দিন মিরপুর কাজীপাড়া মাদরাসার ফাজিল শেষ বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ী বরিশাল মহানগরীর বন্দরহাট থানার কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামে।

শিবিরের প্রেস বার্তায় বলা হয়, অত্যন্ত নৃশংস ও পরিকল্পিত ভাবে গভীর রাতে মিরপুর তালতলা এলাকায় নিয়ে হত্যা করা শিবির নেতা জসিম উদ্দিনকে। নিরাপরাধ মেধাবী ছাত্রদের উপর ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পুলিশ যে অমানবিক নির্মমতার পরিচয় দিয়েছে তাতে দেশবাসী আজ বাকরুদ্ধ। পুলিশ তার দায়িত্ব বাদ দিয়ে ফ্যাসিষ্ট সরকারের জল্লাদের ভূমিকায় নেমেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ যদি ঘাতকতায় বেশি আগ্রহী হয় তাহলে তাদের ঘোষনা দিয়ে পবিত্র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়া দরকার। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, পুলিশের পোষাকে জল্লাদের ভূমিকা মেনে নেয়া হবে না। নরঘাতকদের পরিচয় ছাত্রজনতার কাছে অজানা নয়।

তারা বলেন, অবিলম্বে এই নির্মম বর্বরতা বন্ধ করে খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজের হাত দূর্বল নয়। এভাবে একের পর এক ছাত্রদের হত্যার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। জান-মাল রক্ষায় প্রয়োজনে যা করার তা’ই করার সিদ্ধান্ত নিবে ছাত্রসমাজ।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post