সরকারি নৃশংসতার প্রধান শিকার জামায়াত-শিবির ||

ঢাকা: বিগত এক মাসে বিরোধী জোটের ২৫ জন নেতাকর্মীকে সরকার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে অভিযোগ করে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

দলটির দাবি, ‘নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের বেছে বেছে গুলি করে হত্যা করছে। সরকারের নৃশংসতার প্রধান শিকার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।’

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গুলি করে হত্যা করছে। সরকারের নৃশংসতার প্রধান শিকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। গত ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সরকার, বিরোধী রাজনৈতিক দলের ২৫ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে।’

মকবুল আহমাদ দাবি করেন, গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের তথ্য সম্পাদক শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করার পর রাতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। একইভাবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জামায়াত কর্মী শহিদুল ইসলামকে আটক করার পর ৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাহাব পাটোয়ারীকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর হত্যা করে ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ রেখে এসেছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুক্রবার সাতক্ষীরার বাসিন্দা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল বারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম ও জামায়াতের মহিলা সদস্য সুকতারাকে আটক করে নিয়ে গেছে। পুলিশ আজ কুমিল্লা দক্ষিণ সদর সাংগঠনিক থানা জামায়াতের আমির মাস্টার কফিল উদ্দিনকে আটক করেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শামীম রেজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

আর গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও তাকে আদালতে সোপর্দ না করায় আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। পরিবারের আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো সময় তাকে হত্যা করতে পারে।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, বাংলাদেশে চলছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরাসরি আইন লঙ্ঘন করছে। এমতাবস্থায় জাতিসংঘ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং শান্তিকামী জনতাকে এ অন্যায় ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

মকবুল আহমাদ ২০-দলীয় জোট ঘোষিত সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন অব্যাহত রাখার জন্য নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post