সেনবাগ নোয়াখালী প্রতিনিধি : আগামীকাল ২রা ফেব্রুয়ারী রোজ সমবার নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর শ্রীপুর গাজী বাড়িতে ওরসের নামে চলবে চাঁদাবাজি ভন্ডামী ও শিরিক বেদআত আর ও কত অশ্লীল কাজ ।
এই সব অশ্লীল বেহাপনা শিরিক বেদআত কাজ পরিহার করার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ রহল ।।
হাজারো ওলী- আউলিয়ার দেশ বাংলাদেশ। কোন এক সময় এ দেশের মানুষই ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পেয়েছিলেন এ মহান ব্যক্তিদের মাধ্যমে। হযরত শাহজালাল থেকে শুরু করে সকল পীর- আওলীয়াদের প্রধান কাজ ছিলো রাজা গৌর গোবিন্দদের হটিয়ে ইসলামী হুকুমাত কায়েম করা। শান্তির ধর্ম ইসলামকে রাষ্ট্রীয় শক্তি হিসেবে জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরা। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁদেরকে সইতে হয়েছে কত-শত যন্ত্রণা। ত্যাগ করতে হয়েছে সকল সুখকে।
সম্পূর্ণ হিন্দু অধ্যুষিত এ বাঙ্গালী জাতীকে আলোর দিশা তাঁদেরই ত্যাগের বিনিময়ে। প্রতিদান হিসেবে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদেরকে করেছেন মর্যাদাবান। দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতায় ছিলেন হযরত আবু বকর, ওমর, উসমান, আলী (রা:) উত্তরসূরীরা। গড়েছেন এক সোনালী ইতিহাস। আমাদের জন্য বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের মাটিকে করে গেছেন উর্বর।
পীর- আওলীয়াদের কথিত উত্তরসূরীরা আজ কলঙ্কিত করছে সেই সোনালী অতীতকে। নতুন পথের সন্ধানের নামে সত্যিকারের ইসলাম থেকে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে সরলমনা, শান্তি প্রিয় মুসলিম জনতাকে। সাধারন মানুষের কাছে ইসলামকে উপস্থাপন করা হচ্ছে বিকৃত রূপে, ভয়ঙ্কর রুপে।
পীর- আওলীয়াদের নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে নি: স্ব, অসহায়, ইসলামপ্রিয় জনতার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। মাজারের নামে প্রকাশ্যে ব্যবস্থা করা হচ্ছে ইসলামী পূজা আর শিরকের। পূজার সময় হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী হাজারো ভক্তরা তা দের ভগবানের জন্য প্রসাদ নিয়ে আসেন। মাজার গুলোতে পীর - আওলীয়াদেরকে ঠিক তেমনি অনেকটা ভগবান হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভক্ত বা মুরিদ দেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে প্রসাদ ( হাদিয়া) নিয়ে আসার জন্য।
৯০শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এই বাংলাদেশের মানুষের আবেগটা একটু বেশিই। সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে চালানো হচ্ছে নানা মুখী প্রচারনা। অবতারণা করা হচ্ছে হাজারো আজগুবি, মিথ্যা, বানোয়াট, গল্পের। আয়োজন করা হয় নির্ধারিত ওরস দিবসের। সমাগম হচ্ছে লাখ মানুষের। হাদিয়া গ্রহণ করা হয় বিভিন্ন মাধ্যমে। হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকার নগদ সম্পদ। সম্পূর্ণ খালি হাতে ফিরে যেতে হয় ভক্তদের। খালি বলা আসলে ভূল হবে। কিছু শিরক, বিদঅাত ও ইসলাম ধ্বংশকারী মাজার রাজনীতি ঘরে নিয়ে যাচেছ!
হাজার কোটি নগদ টাকা, মহিষ গরু, ছাগল, মুরগী সহ আরো অনেক হাদিয়ায় ভরপুর হয়ে উঠে কিছু দিন আগেও শূন্য পড়ে থাকা মাজার প্রাঙ্গণ। পীরের উত্তরসূরীর নামে আত্নসাৎ করা হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের এই সম্পদ।
আপনি পুর্বে এই বাবুপুর শ্রীপুর গাজী বাড়ির মানুষের কথা একটু ভাবুন তাদের যে পরিমান সম্পদ বা যে গৃহে বসবাস করতো তা ছিল অতি নগন্ন । কিন্তু আজ তাদের বর্তমান রাজ প্রাসাদের দিকে তাকালে বুঝা যাবে কি পরিমান সম্পদ হাতিয়ে দিয়েছে গরীব অসহায় মানুষের কাছে থেকে মানুষ কে ধোঁকা দিয়ে এই সম্পদ অর্জন করাই তাদের মুল উদেশ্য ।
প্রতি বছর বাংলা মাঘ মাসের ২০ তারিখে বসে এদের ওরসের নামে ভন্ডামী ও শিরিক বেদআত আর ও কত অশ্লীন কাজ। এই ওরস কে পুঁজি করে এক শ্রেণীর লোক আয়োজন করে মদ, গাঁজা ও জুড়ার আসর । জানা গেছে পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মেনেস করা হয় এই আয়োজন। পুলিশের এই নীরবতায় স্থানীয় এলাকার লোক জন ক্ষুব্দ। এলাকাবাসীর একটাই দাবী অভিলম্বে এই সব শিরিক বেদআত অশ্লীল কাজ বন্ধ করা হোক।।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।