দাগনভূঁইয়া প্রতিনিধি :
কুরআনের আইনই পারে ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা:) বিধান কুরআনের আইন মেনে চললে কোনো ছেলে মেয়েরা ইভটিজিং এর মত অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারেনা। কারন তাদের অন্তরে আল্লাহর আজাবের ভয় থাকে। তাই তারা আখেরাতের অবস্থার কথা চিন্তা করে ইভটিজিং বা এধরনের অপরাধ থেকে দুরে থাকেন।
ইভটিজিং এর আরেকটি কারন হচ্ছে পর্দা না করা।ইভটিজিং প্রতিরোধে পর্দারও বিকল্প নেই। আর যে সমাজের অভিভাবক বা তাদের বাবা মা সচেতন না, ওই সন্তানেরাই ইভটিজিং বা বড় কোন অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। তাই দরকার প্রত্যেকটি সমাজের লোকজন ও অভিভাবককে সচেতন হওয়া।
অভিভাবকদের পাশা পাশি ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে অবস্থান কালে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরকেও সচেতন হতে হবে। সর্বপরি শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা সচেতন হলে ইভটিজিং এর মত অপরাধ থেকে আমাদের সমাজকে বাচাঁতে পারবো।
২৭ শে জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রুবার ফেণী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলায় হিউম্যান সোসাইটি কতৃক আয়োজিত চতুর্থ তম তাফসির মাহফিলের বিশেষ অতিথির বক্তবে যুমনা টিভির ধর্মীয় আলোচক মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী এসব কথা স্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেও সামাজিক সচেতনতাও দরকার। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন হয়েছে, কিন্তু এই মানব রচিত আইন দিয়ে হবে। কেবল মাত্র কুরআনের আইন মানলেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা যাবে। আজকে আমাদের সমাজে প্রায়ই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে বাল্যবিবাহের কারনেই। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।