বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতারা দলে ফিরছেন ||

এক-এগারোর সময় নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন তাঁরা। দলে ব্যাপক প্রভাবও ছিল তাঁদের। কিন্তু সেই তাঁরা রাজনীতিতে এখন বেকার। দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সমর্থনও এখন তাঁদের পক্ষে নেই। যে কারণে বিএনপিতে তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ অন্য দলে ভেড়ার চেষ্টা করছেন। তবে এখন নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বিএনপির সংস্কারপন্থী সেই নেতারা কি আবার দলে ফিরছেন? বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র গুঞ্জন চলছে। জানা গেছে, সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিএনপি নেতাদের বর্তমান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই আন্দোলনে সক্রিয় নেতাদের সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা আসবে। অনেকে ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেতও পেয়ে গেছেন। শীর্ষ পর্যায়ের এই মনোভাব বুঝতে পেরে এরই মধ্যে অনেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিজেদের সক্রিয় করেছেন।

বিএনপির হাইকমান্ডের একটি সূত্র জানায়, সম্প্র্রতি এক-এগারোর সময় সংস্কারপন্থীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া এবং পরে দল থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের বিএনপিতে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের দলের শীর্ষ কয়েক নেতাকে এ ব্যাপারে দায়িত্বও দিয়েছেন। সে সূত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা প্রতিদিনই দলের বাইরে থাকা নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন।

সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সেই বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা জেড এ খান, বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বরিশালের জহির উদ্দিন স্বপন, ঢাকার মেজর (অব) কামরুল ইসলাম, বগুড়ার গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, লক্ষীপুরের জিয়াউল হক জিয়া, চাঁদপুরের ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, এস এ সুলতান টিটু, আলমগীর হায়দার খান, মৌলভীবাজারের এম এম শাহীন, কক্সবাজারের ইঞ্জিনিয়ার শহীদুজ্জামান, পিরোজপুরের মোশাররফ হোসেন মঙ্গু, নরসিংদীর সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, সুনামগঞ্জের নজীর হোসেন, বরগুনার নূরুল ইসলাম মনি, ময়মনসিংহের দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, বরিশালের শহিদুল হক জামাল, গাইবান্ধার শামীম কায়সার লিঙ্কন, নারায়নগঞ্জের আতাউর রহমান আঙ্গুরসহ অনেকে।

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post