রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মারজানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি রবিবার ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিটে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবারের দাবি, জনপ্রিয়তার কারণেই ভাইস চেয়ারম্যান মারজানকে ডিবি জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। যেহেতু এখনও গ্রেফতার দেখায়নি ডিবি সে কারণে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পরিবারটি।
ডিবির একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানায়, ক্রসফায়ারের উদ্দেশ্যেই মিঠাপুকুরের ভাইস চেয়ারম্যান মারজানকে ঢাকার মোহাম্মাদপুর থেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি। তাকে আজকালের মধ্যে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলেও জানায় সে সূত্রটি।
ডিবির আরেকটি সূত্র জানায়, মিঠাপুকুরে বাসে আগুনের ঘটনার সাথে মারজানের কোন সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি পুলিশ। কিন্তু বিরোধীদলের আন্দোলনে তিনি সরব থাকায় তাকে ক্রসফায়ার দেয়া হতে পারে। এই মুহূর্তে তাকে মিন্টু রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ের একটি অন্ধকার রুমে রাখা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে যারা সরব রয়েছেন তাদেরকে এভাবে ক্রসফায়ার দেয়ার নির্দেশ রয়েছে।
এদিকে, জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, ডিবি পুলিশের কোন কোন সদস্যরা মারজানকে ধরে নিয়ে গেছে তাদের তালিকা ইতোমধ্যে ডিবি সূত্রেই তাদের হাতে এসে পৌছেছে। তারা চেষ্টা করছে তাকে যেন পুলিশ আইনের হাতে সোপরদ করে। তাকে যদি অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয় তাহলে এর কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার হুমকিও দেয় জামায়াত।
জামায়াতের আরেকটি সূত্র হুশিয়ারি দিয়ে জানায়, তাদের নেতাকমীদের অন্যায়ভাবে বিনাবিচারে যারা হত্যা করছে সে সকল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের তালিকা জামায়াতের কাছে রয়েছে। তাদের কাউকে বিনাপ্রতিবাদে ছেড়ে দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজিবি, পুলিশ ও র্যা বের তিন প্রধান সরাসরি সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিরোধীজোট নিধনে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তারপর থেকেই একের পর এক ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটছে। তারই ধারাবাহিকতায় রংপুর মিঠাপুকুরের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মারজানকে তুলে নিয়ে গেলেও তাকে এখনও গ্রেফতার বা কোন আইনের আওতায় নেয়নি ডিবি পুলিশ।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।