সাদিয়া এবং তার পরিবার সত্যের পক্ষে রয়েছে, দ্বীন ইসলামের পথে রয়েছে- শুধু এই অপরাধেই ডাকাত নামধারী ছাত্রলীগের হাতে জীবন দিতে হল ওকে। ও জীবন দিয়ে ঘোষণা দিয়ে গেল এ পথের শ্রেষ্ঠত্ব আর সুমহান সৌন্দর্যের।
ইসলামী ছাত্রী আন্দোলনের প্রথম শহীদ যাত্রাবাড়ীর সাদিয়া।
রক্ত ঝড়েছে, কোপের পর কোপ খেয়েছে, রক্তে ভেসে গিয়েছে যমীন, নিঠুর মাটিতে রক্ত নি:শেষ হয়েছে। রক্ত ঝড়ে ঝড়ে শাহাদাতের পরম সৌভাগ্যে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছে হযরত সুমাইয়ার (রা:) যোগ্য উত্তরসূরী, রাসুলের (সা:) পথের পথিক, নিরপরাধ সাদিয়া। জীবন দিয়ে ঠেকিয়েছে কুখ্যাত দুবৃত্তরূপী ছাত্রলীগের পশুদের।
জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি জামাআ’ত নেতা পিতার খোঁজে এসে, পিতা ভ্রাতাশূণ্য বাড়ীতে সাদিয়া ও তার মাকে পেয়ে নির্মমভাবে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ। নিরপরাধ ২ জন নারীর গায়ে আঘাতের পর আঘাত করেছে পাষন্ড নরপশুরা। এভাবেই শাহাদাতের কোলে ঢলে পড়ে মাদ্রাসা ছাত্রী সাদিয়া।
তার মাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় একজন মহিলা প্রতিবেশী হাসপাতালে নিযে যায়। আইসিইউ তে নেয়া হয় তাকে। এলাকার কোন মানুষকে সহযোগিতার্থে কাছেও ঘেষতে দেয়নি চিহ্নিত খুনীরা।
সোনার ছেলেদের কীর্তি দেখে হযরত খুবাইবের (রা:) সেই দোআ মনে পড়ছে- “ হে আল্লাহ! তুমি এদের গুনে গুনে রাখ। এদের সমূলে বিনাশ কর। আর এদের একজনকেও তুমি ছেড়ে দিওনা।”
মহান আল্লাহ অবশ্যই একের পর এক নিরপরাধ মানুষ হত্যার বিচার করবেন।
আজ আসুন! নিষ্পাপ সাদিয়ার রক্তের ঋণ শোধ করতে, দৃঢ় প্রত্যয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।
লেখক- শামসুন নাহার সাকী/ ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।