সেনবাগ: গতকাল নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশরপাড় ইউনিয়নের ইটবাড়ীয়া গ্রামের ছেমনা বেগম নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দূর্বৃত্তরা। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই বাড়ীর এক গৃহবধূকে আটক করেছে।
রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ ছেমনা বেগম (৪৫) উপজেলার কেশরপাড় ইউনিয়নের ইটবাড়ীয়া গ্রামের খয়রাত মিয়ার বাড়ীর সিরাজ মিয়ার স্ত্রী। আটককৃত জুলেখা বেগম (৪০) একই বাড়ীর নূর নবীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ইউপির ইটবাড়ীয় গ্রামের সিরাজ মিয়ার স্ত্রী ছেমনা বেগম নিজের ঘরের মধ্যে কাজ করছিল। দুপুর ১টার দিকে ওই গৃহবধূর ছেলে মেয়েরা ঘরের মধ্যে গিয়ে ছেমনা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গলা কাটা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এসময় তার রক্তাক্ত দেহের পাশে পড়ে থাকা একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। গলাকাটা অবস্থায় ছেমনাকে উদ্ধারের পর কে ঘটনাটি ঘটিছে জিজ্ঞেস করলে তিনি ইশরারায় জুলেখাকে দেখিয়ে দেন। পরে পুলিশ এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জুলেখাকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত গৃহবধূ ছেমনা বেগমের সাথে তার ভাতিজা বৌ আটকৃত জুলেখার বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় দিন তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাধ এমনকি হাতা-হাতিও হত। ওই ঘটনার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, আহত গৃহবধূ ছেমনাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জুলেখা বেগম নামের এক গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছেমনা বেগমকে ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ১৯ জানুয়ারী ২০১৫।