জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে অন্যথায় গণদাবি রাজপথেই আদায় করা হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে বাধাদানের প্রতিবাদ, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান অবরোধের সমর্থনে এক মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, দুর্বার গণআন্দোলনে দিশেহারা হয়ে জুলুমবাজ সরকার এখন বিদায়ের প্রহর গুণছে। তারা জনতার কন্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য দমন-পীড়ন, হত্যা-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের জনতার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে অতীতে কোন স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি, আর আওয়ামী লীগেরও হবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই রাষ্ট্রের সকল বিভাগকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দেলিয়ে দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের নৈতিক ও যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অতিউৎসাহী সদস্য আন্দোলনরত জনতার উপর নির্বিচারের গুলী চালিয়ে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করছে। অধিকার হারা জনতার চলমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা সারাদেশে নাশকতা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে দায়ভার চাপাচ্ছে আন্দোলনকারী জনতার উপর। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সরকারের নির্দেশেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্য সারা দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন যত বাড়ছে জনতার প্রতিরোধ আন্দোলন ততই তীব্র হতে তীব্রতর হচ্ছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, মজলিশে শুরা সদস্য নূরুল ইসলাম আকন্দ, দারুসসালাম সেক্রেটারি আহমদউল্লাহ, জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান, তাজুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন ও ছাত্র নেতা জসিম উদ্দীন প্রমূখ।
দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ২৩ জানুয়ারী ২০১৫।