সরকারের জুলুম-নির্যাতন যত বাড়ছে জনতার প্রতিরোধ ততই শাণিত হচ্ছে ||

২০ দলের ডাকা অবরোধের ৯ম দিনে গতকাল বুধবার জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী রাজধানীতে মিছিল করে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন বলেছেন, জনতার ক্ষোভ এখন গণবিস্ফোরণে রূপ নিতে শুরু করেছে। কিন্তু সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে দলন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে জনতার প্রতিরোধ ততই শাণিত হচ্ছে। ফ্যাসীবাদী ও বাকশালী সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় সরকারের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্লবীতে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে বাধাদান, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। মিছিলটি ১১ নং থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে সড়ক অবরোধ করে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তাসলীম, পল্লবী আমীর আব্দুস সালাম, সেক্রেটারি আশরাফুল আলম, ভাষানটেক সেক্রেটারি আব্দুল মতিন খান, রূপনগর সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন, জামায়াত নেতা সাইফুল কাদের, নাজমুল হক রাজা ও রাইসুল ইসলাম পবন প্রমুখ।

মোবারক হোসাইন বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতেই বিরোধী দলের ওপর দলন-পীড়ন চালাচ্ছে। আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে বাতিল করা হয়েছে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার। ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করা হয়েছে। ভাঁওতাবাজির এ নির্বাচন দেশী ও আন্তর্জাতিক কোনো মহলেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। কথিত নির্বাচন দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তামাশার এই নির্বাচনে ৫ শতাংশেরও কম লোক ভোট দিয়েছে। সরকারের পাতানো নির্বাচনে জাল-জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তা প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের আত্মস্বীকৃতি থেকে সুস্পষ্ট। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই জাল-জালিয়াতির নির্বাচনকে ভিত্তি ধরেই ৫ বছর মেয়াদ পূর্তির দিবাস্বপ্নে বিভোর। কিন্তু জনগণ সরকারের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই সফল ও সার্থক হতে দেবে না। তিনি সরকারকে টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় এজন্য সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।

উত্তরা থানা: গতকাল বুধবার সকাল সাতটায় রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে জামায়াতে ইসলামী উত্তরা (পশ্চিম) থানা শাখা। থানা আমীর আবদুল্লাহ রেজার নেতৃত্বে মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মোস্তাক আলম, তরিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, আজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

তেজগাঁও থানা: সকাল সোয়া সাতটায় রাজধানীর ফার্মগেট হলিক্রস স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে জামায়াতে ইসলামী তেজগাঁও থানা শাখা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা ইলিয়াস উদ্দিন, মামুনুর রশিদ ও শিবির নেতা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

মিরপুর (পশ্চিম) ও দারুসসালাম থানা: সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর মিরপুর টোলারবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে জামায়াতে ইসলামী। মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মিরপুর (পশ্চিম) থানা আমীর নূরুল ইসলাম আকন্দ, দারুসসালাম থানা সেক্রেটারি আহমদউল্লাহ, শিবির নেতা বখতিয়ার তুহিন, বেলাল ও তানভীর প্রমুখ।

গেন্ডারিয়া থানা: গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জামায়াতে ইসলামী গেন্ডারিয়া থানা সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা হাদিউল ইসলামকে তাদের বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।

কদমতলী থানা: গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর মুরাদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে জামায়াতে ইসলামী কদমতলী থানা। মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা আব্দুর রহিম, নেসারউদ্দিন, মহিউদ্দিন, মাইনুর রহমান হিরা, মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

শাহজাহানপুর থানা: গতকাল বুধবার সকাল নয়টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে জামায়াতে ইসলামী। শাহজাহানপুর থানা আমীর শামসুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান ও শিবিরের থানা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি। ১৫ জানুয়ারী ২০১৫।

Post a Comment

Previous Post Next Post