জামায়াত জাতির যে কোন ক্রান্তিকালে সাধ্য অনুযায়ী জনণের পাশে থেকেছে

দেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারী নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জামায়াত জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে সাধ্য অনুযায়ী জনণের পাশে থেকেছে।

গণমানুষের জন্য জামায়াতের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সরকারের বৈরী আচরণের কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও জামায়াত গণমানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারছে না।

মূলত দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র পতিষ্ঠিত না থাকার কারণেই গণদুর্ভোগ বেড়েছে। তাই গণমানুষের সার্বিক কল্যাণের জন্য ন্যায়-ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

আজ বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দুঃস্থ ও শীতার্থ মানুষের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মোবারক হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তসলীম, পল্লবী থানা আমীর আব্দুস সালাম, কাফরুল থানা আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম ও জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন খান প্রমূখ।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণে কাজ না করে গণবিরোধীতায় লিপ্ত হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে প্রচন্ড শীতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও সরকার দুর্গত জনগণের কল্যাণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মূলত সরকার অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে জনগণের উপর দলন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলকে রাজপথে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। জুলুম-নির্যাতন, হত্যা-সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, গুম ও অপহরণ অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। মূলত এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। তিনি দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণের জন্যই এই ব্যর্থ ও গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তিনি সরকারের জুলুম-নির্যাতন মোকাবেলায় দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, জামায়াত গণমানুষের জন্য একটি কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল। আজকের এই অনুষ্ঠানে আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

কিন্তু সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে রেখে তাদের যোগ্যতর খেদমত থেকে দেশ ও জাতিকে বঞ্চিত করছে। অতীতে আমীরে জামায়াতসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যেকোন দুর্যোগ মহুর্তে জনগণের পাশে থেকে সুখে-দুঃখে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

জামায়াত জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে এবং দুর্দশাগ্রস্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবে। তিনি সরকারকে প্রতিহিংসা ও হত্যার রাজনীতি বন্ধ করে অবিলম্বে আমীর জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।

মোবারক হোসাইন বলেন, জামায়াত গণমানুষের জন্য কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল বলেই আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে দুর্গত ও শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকার আমাদেরকে বাধা না দিলেও আমরা আরও বেশী বেশী সহায়তা নিয়ে দুর্গত ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারতাম।

কিন্তু জুলুমবাজ ও ফ্যাসীবাদী সরকার আমাদেরকে জনগণের জন্য কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। তাই গণমানুষের সমস্যা সমাধান করতে হলে এই ব্যর্থ ও জুলুমবাজ সরকারের পতনের কোন বিকল্প নেই।

লালবাগ থানাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তারা দুর্যোগকালীন মহুর্তে জনগণের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে না।

নাগরিকের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হলেও দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত না থাকায় প্রান্তিক জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত থাকলে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্য গ্রহণ করতে হতো না বরং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধান করা হতো।

মূলত মানুষ হয়ে মানুষের কাছে হাত পাতা মানতার অপমান। তাই মানুষের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার কোন বিকল্প নেই। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানো আহবান জানান।

তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর লালবাগ থানা আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দরিদ্র ও শীতার্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিরতণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

থানা আমীর শামীমুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম, আবুল হাসেম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও সাইফুল

দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ/ ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

Post a Comment

Previous Post Next Post