বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে অন্তত পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমার সীমান্তের নিকটবর্তী জলসীমায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচজনসহ তিন শতাধিক বাংলাদেশি ট্রলারে করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল। এ সময় বিজিপির সদস্যরা ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে ট্রলারে থাকা যাত্রী নরসিংদীর মিঠুন রাইজিংবিডিকে ফোনে নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় তিনি জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, বিজিপি তাদের ট্রলার লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়ে। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। তারা আতঙ্কিত অবস্থায় এখনো সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় আছেন। বেলা ১টা পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
অন্যদিকে, ট্রলারে বিজিপির গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার কাজী হারুনুর রশিদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার সীমান্তে মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশিদের ট্রলারকে লক্ষ্য করে বিজিপি গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন নিহতের খবর শুনেছি।’ কোস্টগার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন বলে জানান তিনি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্রায় ১০/১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার সমুদ্র জলসীমায়। সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, নৌবাহিনীর যে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের অদূরে অবস্থান করে, সেটি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে। সঙ্গে আরো কয়েকটি দেশি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়াগামী ট্রলারে বিজিপির গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।’
উৎসঃ রাইজিংবিডি
এম/এ/আর/সেনবাগ