চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদেককে জামিনে মুক্তির পর আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে জাফর সাদেককে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে জাফর সাদেক চারবার জেলগেট থেকে আটক হয়েছেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, জাফর সাদেককে আটক করা হয়েছে। তাকে সাতকানিয়া থানার একটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
গত বছরের ২৫ এপ্রিল নগরীর মেহেদিবাগ এলাকায় জামায়াত নিয়ন্ত্রিত একটি হাসপাতাল থেকে জাফর সাদেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানার মোট ১১টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কারা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ১১টি মামলার মধ্যে অধিকাংশতেই জাফর সাদেক হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। সর্বশেষ পাঁচলাইশ থানার একটি মামলায় তার জামিনের আদেশ বুধবার রাতে কারাগারে পৌঁছে। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
জেলগেট থেকে ফের গ্রেপ্তারের পর তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় সহিংস তান্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারেরা। তাদের তান্ডবে লোহাগাড়া থানার কনস্টেবল তারেকসহ কমপক্ষে ৪ জন নিহত হন।
এরপর ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের একটি আদালতে জবানবন্দি দিয়ে লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শামসুল আলম হেলালি জানায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সহিংস তান্ডবের অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে দিয়েছিল জামায়াত-শিবির। ওই তান্ডবে জামায়াত-শিবির তাদের কর্মী, সমর্থকসহ প্রায় তিন থেকে চার হাজার লোককে ব্যবহার করে।
আর পুরো তান্ডবের পরিকল্পনায় ছিলেন নগর জামায়াতের আমির সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী এবং দণি জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদেক।
ওই জবানবন্দিতে জাফর সাদেকের নাম আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উৎসঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
এম/এ/আর/সেনবাগ