রাবিতে ছাত্রলীগের বর্বরতা ও শিবির নেতার পা কর্তনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

অবিলম্বে ছাত্ররাজনীতির বিষফোঁড়া ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে-ছাত্রশিবির

ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নবাব লতিফুল্লাহ হল শাখার সেক্রেটারী রাসেলের উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলা ও কুপিয়ে ডান পা বিচ্ছিন্ন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক নৃশংসতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বার বার রক্তাক্ত হচ্ছে। গুলি করে, কুপিয়ে ছাত্রহত্যা, রগকাটা, পা কাটা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এমন কোন অপকর্ম নেই যা রাবি ছাত্রলীগের নেতারা করছেন না। রাবি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আরবি ৪র্থ বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বের হবার সময় রাবি শিবির নেতা জিয়া উদ্দিন বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর দুপুর ২টার দিকে ক্লাশ শেষে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ ভবনের সামনে থেকে অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাবি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তন্ময় আনন্দ অভি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রীনেত, সুষ্ময় এবং বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ কৌশিক শিবিরের নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা সেক্রেটারি রাসেলকে আটক করে নিয়ে যায়। ২ ঘন্টা ধরে নির্মম নির্যাতনের পর বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের সামনে কুপিয়ে শিবির নেতা রাসেলের ডান পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং দুই পা ও হাতে পিস্তল ঠেকিয়ে ৩ টি গুলি করে প্রায় মৃত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অদূরে দাড়িয়ে সব প্রত্যক্ষ করলেও শিবির নেতা রাসেলকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে আসে নি। এভাবে কিছু দিন পর পরই সাধারণ ছাত্রদের পুলিশের সামনেই নির্যাতন করা হয়। কিন্তু পুলিশ বরাবরের মতই নির্বিকার ও নীরব দর্শকের ভমিকা পালন করে থাকে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোকে মিনি ক্যান্টমেন্ট ও টর্চার সেলে পরিণত করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছেন না। যার ফলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ আজ হুমকির সম্মুখিন। ছাত্রলীগ আজ ছাত্ররাজনীতির বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। কাজেই অবিলম্বে ছাত্ররাজনীতির এ বিষফোঁড়া ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের কাছে শিবির নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের জীবন লিজ দেয়া হয়নি। ছাত্রলীগের ধারাবাহিক বর্বরতা ছাত্রশিবির ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে আসছে। কিন্তু সাধারণ ছাত্রদের এই ধৈর্য সহনশীলতাকে দূর্বলতা মনে করলে প্রশাসন মারাত্মক ভূল করবে। অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বিক্ষুদ্ব ছাত্রসমাজ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। আর তখন অনাকাংখিত যে কোন পরিস্থিতির দায়ভার প্রশাসনকেই গ্রহণ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে এবং আহত শিবির নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

(মো. জামাল উদ্দিন)
সহকারী প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

Post a Comment

Previous Post Next Post