সংসদে ঘুমিয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাহারার আসন পরিবর্তন

জাতীয় সংসদের ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতেই ছিলেন তিনি। সংসদে উপস্থিতও থাকেন নিয়মিত। কিন্তু সমস্যা একটাই- সংসদের সামনের সারির ওই আসনে বসার সঙ্গে সঙ্গেই গভীর ঘুমের দেশে চলে যান তিনি। সহকর্মীরা ডেকেও ঘুম ভাঙাতে পারেন না।

বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আর তার নির্দেশেই সংসদে সামনের সারির আসন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পেছনে। বর্তমানে তার আসনটি সংসদের দ্বিতীয় সারিতে।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হিসেবে সিনিয়রিটির ভিত্তিতেই তাকে সংসদের প্রথম সারির আসন দেয়া হয়েছিল। সংসদের প্রথম অধিবেশনের পুরোটাই তিনি ওই আসনে বসে সংসদ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা কিংবা অন্য কোন কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণ ছিল না। কারন সংসদে এসেই তিনি যথারীতি ঘুমিয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চোখের সামনেই এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এবার সংসদের অধিবেশন আহ্বানের পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ হুইপ ও হুইপদের ডেকে নির্দেশ দেন, সাহারা খাতুনের আসন পরিবর্তন করতে।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। তিনি বলেছেন, কেনো তার আসন পরিবর্তন করতে বলেছেন আমরা জানিনা। প্রধানমন্ত্রী তার আসনটি ওখানে না রাখার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু দলের প্রেসিডিয়ামের এই সদস্যকে তার সিনিয়রিটি অনুযায়ী আসন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। দলের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের সঙ্গেই বসার ব্যবস্থা হয়েছে। প্রেসিডিয়ামে তার জুনিয়র ওবায়দুল কাদেরও তার সিনিয়র আসন বরাদ্দ পেয়েছেন। বিষয়টি তার জন্যও সম্মানজনক নয়।

তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আসন কোনো বিষয় নয়, সংসদে আমি নিয়মিত অংশ নিচ্ছি।’

প্রথম সারিতে তার আগের আসনটিতে এখন বসেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে।

তবে তিনি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আছেন যারা সংসদের অধিবেশনে নিয়মিত ঘুমিয়ে পড়েন। সাবেক আরেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর তাদের মধ্যে অন্যতম।

এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে তার সামনেই দিব্যি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সাহারা খাতুন।

উৎসঃ বিডিটুডে

Post a Comment

Previous Post Next Post