শিবিরের ধাওয়ায় পালাল ছাত্রলীগ, মাঠ দখল নিয়ে পড়ল গায়েবানা জানাযা ||

জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর গায়েবানা জানাযাহ ঠেকানো ঘোষণা দিলেও জামায়াত-শিবিরের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এর আগে চকবাজার ও কলেজ এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে ছাত্রলীগ।

বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মাঝেই দু’দফা গায়েবানা জানাজা সম্পন্ন করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এতে অংশ নেন নগর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাওলানা নিজামীর ফাঁসির পর প্যারেড মাঠে গায়েবানা জানাজার ঘোষণা দেয় জামায়াত। তবে এর বিরোধিতা করে বুধবার দুপর ১২টা থেকে মাওলানা নিজামীর গায়েবানা জানাজা ঠেকাতে নগরীর চকবাজার প্যারেড মাঠে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরও গায়েবানা জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্যারেড মাঠের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিজামীর গায়েবানা জানাজা ঠেকাতে প্যারেড মাঠের পূর্ব গেটে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। অন্যদিকে চকবাজারের গোলজার মোড় ও আশপাশের এলাকায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। এর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেট ও কেয়ারি কর্নারে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ কর্মীরা।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেটের সামনের সড়কে নিজামীর গায়েবানা জানাজা আদায় করে। গায়োবানা জানাজা শেষে শিবিরের কিছু নেতাকর্মী কলেজ সংলগ্ন প্যারেড মাঠে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা ছাত্রলীগ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। এমনকি ছাত্রলীগের মাইকও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিবিরের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেট ভেঙে প্যারেড মাঠে ঢুকে পড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। পরে মাঠে দ্বিতীয় দফা গায়েবানা জানাজা শেষ করে উত্তর দিক দিয়ে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় আবারো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে কলেজ চত্বরে চারটি মোটরসাইকেল ও ছাত্রলীগের মাইক ভাংচুর করে শিবির কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে কিছুক্ষণের মধ্যে শিবির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post