বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, রক্তে অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে যোগ্যতা সম্পন্ন দেশ প্রেমিক নাগরিকের বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে। কিন্তু যারা দেশকে করদরাজ্যে পরিণত করতে চায় তারা প্রতিনিয়ত আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তবুও ছাত্রশিবির সকল প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করছে। এ সময় তিনি শিবির একটি বিকল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আজ ছাত্রশিবিরের সদস্যদের মেধা যাচাই পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। মানবাধিকার সম্পাদক শাহ মো: মাহফুজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, সাহিত্য সম্পাদক মোবারক হোসেন প্রমুখ।
শিবির সভাপতি বলেন, দেশের মূল শক্তি আগামীর ভবিষ্যত ছাত্রসমাজ মেধা ও নৈতিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতির চরম দূর্ভাগ্য হলো সেই ছাত্রসমাজের একটি অংশকে সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। সরকারের অনৈতিক মদদে ছাত্রলীগ আজ দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাস শিক্ষার বদলে অস্ত্রের ঘাটিতে পরিণত করেছে। সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। ফলে জাতির আকাঙ্খার জায়গাটি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা ভীতির স্থানে পরিণত করেছে। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, অস্ত্রবাজী, অপহরণসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করছেনা। আর সকল অপকর্ম ঢাকতে তারা মুক্তিযোদ্ধের চেতনার লেবাসকে ব্যবহার করছে। কিন্তু ছাত্রলীগের মত সন্ত্রাসী সংগঠন কোনভাবেই জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেনা। যা জনগণ ভাল ভাবেই বুঝে গেছে। বরং ছাত্রশিবিরই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে একের পর এক গঠনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি দরিদ্র ছাত্রদের পড়ালেখার নিয়মিত রাখতে ছাত্রশিবির ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের এসব কর্মসূচি দেশবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে। যার ফলে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠন যখন জনবিচ্ছিন্ন, ছাত্রশিবির তখন ছাত্রসমাজের কাছে প্রিয় নাম।
তিনি আরো বলেন, দেশের ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রশিবিরই এখনো মেধার চর্চা ধরে রেখে এগিয়ে চলেছে।