গরু চোর যখন লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি! ||

তার বিরুদ্ধে রয়েছে গরু ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের মামলাসহ শত অভিযোগ। প্রতিনিয়ত লাকসামে চাদাবাজী, ছিনতাইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে শিহাব খান। গাজীমুড়া গ্রামের মরহুম নুরুল হক খানের দ্বিতীয় ঘরের অবৈধ সন্তান এই শিহাব। ২০১৩ সালে লাকসাম বাইপাসে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে শিহাবসহ ৪ জন গরু ব্যবসায়ীর ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই করে। পরবর্তীতে লাকসাম উপজেলা আওয়ামীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তবারক উল্লাহ কায়েসের মধ্যস্থতায় সুমন ৬ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেও, শিহাব তার ভাগে পাওয়া কোন টাকা ফেরত দেয়নি। এমপি তাজুলের শ্যালক মহব্বত আলী ও ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম রতনের ছত্রছায়ায় শিহাব সেই যাত্রায় রক্ষা পায়। এরপর থেকে রতন মহব্বতের ছত্রছায়ায় একটি ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। এতো কিছুর পরও ২০১৪ সালে এই শিহাবকেই মহাব্বত ও রতনের কারণে এমপি তাজুল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। এতে করে শিহাব আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। নিয়মিত চাদাবাজী, ছিনতাই, ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িয়ে পরে শিহাব। কিন্তু, এমপি তাজুলের হাত মাথায় থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলার সাহস পায়না কেউই। বরং দিন দিনই ভয়ঙ্কর ক্যাডারে পরিণত হয় শিহাব।

বর্তমানে লাকসামে যে কোন বাড়ী করতে গেলেই শিহাবকে দিতে হয় বড় অংকের চাদা। এছাড়াও, ইয়াবা, ফেনসিডিলের লাকসাম ডিলার হিসেবে কাজ করছে শিহাব। তার রয়েছে নিজস্ব ভাড়া করা পতিতা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্ল্যাক মেইল করছে নিয়োমিত। একাধিক মহিলার সাথে শিহাবের রয়েছে পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্ক। মনোহরগঞ্জ এলাকার এক মহিলার সংসার ভাঙ্গে শুধুমাত্র শিহাবের সাথে পরোকিয়া সম্পর্কের কারণে।

চিকিৎসার প্রয়োজনে সম্প্রতি জায়গা বিক্রি করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, আমি চিকিৎসার প্রয়োজনে জায়গা বিক্রি করতে গেলে আমার কাছে শিহাব ১০ লাখ টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে শিহাবকে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার বিনিময়ে সে যাত্রায় রক্ষা পাই।

সর্বশেষ ছাত্রদল নেতা রাজুকে লাকসাম বাজারে প্রকাশ্যে মারধর করে তার মোটর বাইক, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে শিহাব। গত ২৪ ডিসেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা কর্ণেল এম আনোয়ারুল আজিমের গাড়ী ভাঙচুর করে ও তার সফর সঙ্গি সাবেক মেয়র মজির আহমেদ এবং বিএনপির প্রার্থী শাহানাজসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের লাঞ্চিত করে।

এই বিষয়ে শিহাব খান বলেন, আমি নিজের প্রয়োজনে কোন কাজ করিনা। নেতাদের নির্দেশেই সকল কাজ করি। নেতারা যখন যা করতে বলে, ঠিক তাই করি। আর সমোঝোতা মোতাবেক গরু ব্যবসায়ীর সকল টাকাই কায়েস কাকার কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তিনি না দিলে আমার কিছু করার নেই। লাকসাম নিউজ

http://www.bdfirst.net/newsdetail/detail/41/179411

Post a Comment

Previous Post Next Post