স্বাধীনতার অর্জনকে অর্থবহ করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে : শিবির সভাপতি ||

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, রক্তে অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে যোগ্যতা সম্পন্ন দেশ প্রেমিক নাগরিকের বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে। কিন্তু সফলতা এখনো আসেনি। তাই স্বাধীনতার অর্জনকে অর্থবহ করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি আজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব আয়োজিত আন্ত:থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি এম শামিমের পরিচালয়নায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মোবারক হোসেন।

শিবির সভাপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বীরোচিত ভূমিকা রেখেছেন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের বিশাল অংশ আজ অবহেলিত। রাষ্ট্রীয় শক্তি চেতনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত। কিন্তু ছাত্রশিবির তাদের ভূলে যায়নি। জাতির সেই সাহসী সন্তানদের মধ্যে যারা অস্বচ্ছল তাদের পরিবারের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির সাধ্য মতো কাজ করে যাচ্ছে। বিজয়ের এই মাসে তাদের পরিবারকে সহযোগিতা এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা হওয়ার কথা ছিল এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। কিন্তু দু:খজনকভাবে মুক্তিযুদ্ধকে স্বার্থ হাসিলের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতির গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণতি করা হয়েছে। যেই মুুুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সেই মুক্তিযুদ্ধকেই ব্যবহার করেই জাতিকে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। যারা আজ মুক্তিযুদ্ধের একচ্ছত্র দাবীদার তাদের দ্বারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুন্ঠিত হয়েছে বার বার।

তিনি আরও বলেন, দেশে যখন আবার মহান বিজয় দিবস ফিরে এসেছে তখন জনগণের বিরাট অংশ শীত ও খাবারের কষ্ট পাচ্ছে। সরকার কথার ফুলঝুড়ি আওড়ালেও এসব অসহায় দু:স্থ মানুষের জন্য কিছুই করছে না। তারা চেতনার একচ্ছত্র দাবীদার হলেও জনগণকে কষ্টে রেখে স্বাধীনতার পূর্ণতা হয়না তা বুঝতে চান না।

তিনি বলেন, বৈষম্য দূর, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের জন্য রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও তা অর্জিত হয়নি। দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই স্বাধীনতার অর্জনকে অর্থবহ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে।

উল্লেখ্য, ৪৫ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের কবর জিয়ারত, কুরআনখানী ও দোয়া, যুদ্ধাহত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, মেধাবী ও অসহায় ছাত্রদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, অনার্থ ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ,কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা ||

Post a Comment

Previous Post Next Post