নিয়োগ বাণিজ্যে কোটি টাকার মালিক ডিআইজি প্রিজন ||

ঢাকা : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অসীম কান্ত পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস সোবহান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এ জিজ্ঞাসাবাদ বিকেল পর্যন্ত চলবে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডিআইজি প্রিজন (চলতি দায়িত্ব) অসীম কান্ত পাল চট্টগ্রাম বিভাগের একজন অসৎ, দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগে ডিআইজি প্রিজন হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর অল্পদিনে অবৈধভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে বিত্তশালী হয়ে উঠেছেন। তিনি নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি ও পদোন্নতি দিয়ে তার সহযোগী বডিগার্ড আওলাদ মুন্সির সহযোগিতায় কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

অভিযোগে আরো বলা আছে, ডিআইজি প্রিজন অসীম কান্ত পালের বডিগার্ড আওলাদ হোসেন মুন্সীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর গ্রামে। কিন্তু তিনি চাকরিতে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে সিলেট সদর উপজেলা দেখিয়েছেন। এই ঘটনার সাথে অসীম কান্ত পালের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ১১টি কারাগার নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি প্রিজনের দায়িত্ব পালন করছেন অসীম কান্ত পাল। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান। এছাড়াও রয়েছে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজার কারাগার।

এই ১১টি কারাগারে মোট ১৩০০ থেকে ১৪০০ কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জন রয়েছেন হাবিলদার। চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব পালনকারী অভিজ্ঞ কারা কর্মকর্তা থাকলেও অসীম কান্ত পালই চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। এই সুযোগে তিনি সিলেটের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পুরো কারা প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

(সংবাদটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে পেইসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)

Post a Comment

Previous Post Next Post