বাবা জেলে থাকায় ‘আমাকে কেউ বিয়ে করতে চায় না ||

ঘটনাস্থল রাজধানীর শাহবাগ পুলিশ বক্সের সামনে। সময় বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ফাসি’র আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহীমের ছোট মেয়ে সামিরা হুমায়রা দাড়িয়ে আছেন। চার দিকে মানুষ তাকে ঘিরে রয়েছে। সবাই শুনছেন। আর হুমায়রা বলেই যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘ সরকার আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানোর চেষ্টা করছে। আমার বাবা নির্দোষ। তিনি ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১  আগস্ট গ্রেনেড হামালার সঙ্গে যুক্ত নন। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবুও তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। 

এসময় শাহবাগ থানার এসআই মইনুল ইসলাম তাকে এ ধরণের কথা বলতে নিষেধ করছিলেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হুমায়রা। 

উত্তেজিত কণ্ঠে তিনি বলতে থাকেন, সরকার আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। বাবা জেলে থাকায় ‘আমাকে কেউ বিয়ে করতে চায় না’। আমি উচ্চ শিক্ষিতা, বিদেশে পড়াশোনা করেছি।

আমি সুন্দরি । তুবও বিয়ে করতে চায় না। সরকার আমার বাবাকে ফাঁসি দিয়ে আমাকে এতিম করতে চায়। আমি আমার বাবার মুক্তি চাই।

শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে বাসায় পৌছে দেয়ার কথা বললে সামিয়া হুমায়রা বলেন, আমি একাই যেতে পারবো। আমাকে পৌঁছে দিতে হবে না।  সরকারের বিরুদ্ধে এত কথা বলছি কিন্তু সরকার শুনছে না।  শত শত মানুষ তাকে ঘিরে দাড়িয়ে তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন।

হুমায়রা আবারো বলতে শুরু করলেন, ‘ আপনারা আমাকে পাগল ভাবনেন না। আমি সুস্থ, আমি আমার বাবার পাগল। আমার বাবাকে না নিয়ে বাসায় ফিরবো না। বাবাকে মুক্তি দিতে হবে।

শাহবাগ থানার এস আই মইনুল ইসলাম বলেন, কি করবো ভাই বিপদে আছি।  ওপরের নির্দেশ রয়েছে, তাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার। তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমাকে। কিন্তু তিনি বড় একজন কর্মকর্তার মেয়ে। তাই কিছু বলতে পারছি না। তিনি (হুমায়রা) বুঝতেও চান না। শুধু সরকারবিরোধী কথা বার্তা বলছেন।

(সংবাদটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে পেইসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)

Post a Comment

Previous Post Next Post