দীপন হত্যায় জড়িতদের দু'জন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ছিলেন।
সিসিটিভি ফুটেজ ও বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে এরইমধ্যে ওই দু'জনসহ ছয়জনকে শনাক্তও করা হয়েছে বলে জানান তদন্তে সংশ্লিষ্টরা। সন্দেহভাজন খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানগুলোয় অভিযান শুরু করেছে।
তদন্তে সংশ্লিষ্ট একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, দীপন হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন কিলারদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন গোয়েন্দারা। এর আগে ব্লগারসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে। কারাগারে থাকা কয়েকজন জঙ্গিকে তাদের ছবি দেখিয়ে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে।
গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিটগুলো শাহবাগ ও লালমাটিয়ায় প্রকাশকদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। এমন একটি সূত্র জানায়, প্রকাশক দীপন হত্যার কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া সন্দেহভাজন ছয় জনের মধ্যে দু'জনগণজাগরণ মঞ্চের কর্মী। এরইমধ্যে তাদের নজরদারিতে নিয়ে আসা হয়েছে। যেকোনও সময় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, দীপন হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। প্রযুক্তি, বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে খুনিদের শনাক্তের কাজ চলছে। জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে ধারণা তাদের। তবে এখনও বলার মতো কোনও অগ্রগতি হয়নি তদন্তে।
গত ৩১ অক্টোবর শনিবার দুপুরের কোনও এক সময়ে শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত হন ফয়সল আরেফিন দীপন। জর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে নির্মমভাবে খুন হন দীপন।
একইদিন প্রায় একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা।
(সংবাদটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে পেইসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)