গণতন্ত্র না ফিরলে দুর্বৃত্তদেরই জয়জয়কার হবে : হাফিজ ||

দেশে গণতন্ত্র না ফিরলে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না, বরং দুর্বৃত্তদেরই জয়জয়কার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীরবিক্রম।
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এতে কল্যানপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম হীরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা সাদেক খান।

হাফিজউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সংলাপে আহ্বানকে শাসকদল ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে। তার নাকি কোনো সংলাপে বসার যোগ্যতাই নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন, ৭৫ ভাগ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন দেবে। তখন প্রমান হবে খালেদা জিয়ার যোগ্যতা আছে কিনা।

তিনি বলেন, যতদিন এর প্রমাণ না হবে ততদিন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না, বরং দুর্বৃত্তদেরই জয়জয়কার হবে। ব্যাংক ব্যবস্থা লুটতরাজ চলতেই থাকবে, সাধারণ মাননুষের কোনো মৌলিক অধিকার থাকবে না। নিরীহ মানুষ আততায়ীর হাতে নিহত হবেন। তদন্ত পর্যন্ত ঠিক মতো হবে না।

দেশে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে গণতন্ত্র থাকলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এতো অবনতি হতো না। নির্বাচিত সংসদ থাকলে সবাই মিলে আলোচনা করে সংকটের সমাধার করা সম্ভব হতো।

আসন্ন পৌর নির্বাচনের আগে গত দুই দিনে বিএনপির ৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করে উচু-নিচু করার প্রানান্তকর চেষ্টা করছে। মন্ত্রী সাহেব যাবেন বিশাল বহর নিয়ে। কেউ কেউ হেলিকাপ্টারেও যাবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কাঁপতে কাঁপতে ভোট কেন্দ্রেই যাবে না।

নির্বাচন কমিশনকে 'আজ্ঞাবহ ও মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান' আখ্যা দিয়ে হাফিজউদ্দীন আহমেদ বলেন, এটিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে রেজিস্টার করে দেয়া উচিত। ক্ষমতাসীনরা যেভাবে চায় তারা সেভাবেই কাজ করে।

স্বাধীনতার পর থেকে সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দাবি করে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত তা সকলেই জানে। বিদেশী রাষ্ট্রের দালাল হিসেবে এদেশের কিছু রাজনৈতিক দল এর সঙ্গে জড়িত। যাতে বাংলাদেশ মেরুদণ্ড সোজা করে দাড়াতে না পারে।'

তিনি বলেন, একজন মেজর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) দিতে পারেনি। এটা কোনো দিনই সহ্য হবে না। সেজন্য শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করে আসছে।

(সংবাদটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে পেইসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)

Post a Comment

Previous Post Next Post