৩০ বছরের কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশকে বার্নিকাটের ৩টি পরামর্শ ||

গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট কনভেনশন হলে দ্যা হাঙ্গার প্রজেক্ট আয়োজিত ‘পিপল এগেইনস্ট ভায়োলেন্স ইন ইলেকশনস’ শীর্ষক ‘পিস অ্যাম্বাসেডরদের’ ন্যাশনাল কনভেনশন অনুষ্ঠানে মার্কিন লোকগায়ক পিট সিগারকে উদ্ধৃত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন,

যে মানুষ একমত হচ্ছেন না, তার সঙ্গে কথা বলতে শিখতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একুশ শতকে এই যোগ্যতাটা হারিয়ে যাচ্ছে। আস্থা ও সম্মান অর্জন করতে ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সব সময় পাশে রয়েছে। সারা দেশের পিস অ্যাম্বাসেডরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সহিংসতাবিহীন ভবিষ্যৎ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে সমাজে আপনারা ইতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকবেন।

বার্নিকাট বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ভূমিকা একজনের থেকে আরেকজনের খুব বেশি ভিন্ন নয়। রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে বাংলাদেশ এবং গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক একটি দৃঢ় সম্পর্ক। আমি আনন্দিত এই কারণে যে, আপনারা রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় এবং জাতিগত ভিন্নতা ছাড়িয়ে কার্যকর উপায়ে সমস্যা ও বিতর্কের সমাধান করতে আপনাদের গোষ্ঠীগুলোর কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন।

পিস অ্যাম্বাসেডরদের উদ্দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার ৩০ বছরের কূটনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আপনাদের সামনে যে কাজ রয়েছে তা সহজ হবে না। মানুষ অনেক সময় একগুয়ে হয় এবং সবার মধ্যে ভারসাম্য করা কঠিন। অনেক সময় সমঝোতা করা কঠিন হয়ে পড়ে যা কিনা নিরুৎসাহিত বোধ করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মার্সিয়া বার্নিকাট নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে ৩টি পরামর্শ দেন।

১। ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন। আপনি যা করছেন তাতে যদি কাজ না হয় তবে অন্য কোন উপায় খুঁজুন। সমাজে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন আমরা হই, সেগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ের সমাধান কঠিন। বিকল্প কৌশল প্রয়োগ করতে ভয় পাবেন না। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে আপনার গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করার জন্য লেগে থাকার মানসিকতা দরকার।

২। শেখার ওপর জোর দেন তিনি। বলেন, আস্থা এবং সম্মান অর্জন করতে ভিন্নমতের সহনশীলতা প্রয়োজন। আমি আপনাদের সবাইকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করছি। কৌতূহলী হোন। শুনুন। আমাদের পৃথিবী এবং এর মানুষ বুঝতে পারলে আমরা আরও ভালো প্রতিনিধি হতে পারবো।

৩। এবং সর্বশেষ তিনি আশাবাদী হওয়ার পরামর্শ দেন।

(সংবাদটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে পেইসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)

Post a Comment

Previous Post Next Post