সিেলটে রাজন হত্যায় কামরুলসহ ৪ জনের ফাঁসি ||

সিলেট: সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এই রায় ঘোষণা করেন।

কামরুল ছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- চৌকিদার ময়না ওরফে বড় ময়না (৪৫), তাজউদ্দিন আহমদ ওরফে বাদল (২৮) ও পলাতক জাকির হোসেন পাভেল ওরফে রাজু (১৮)।

এছাড়া আদালত মামলার অভিযুক্ত এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তিনজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া (২০)। সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- প্রধান আসামি কামরুলের মেজো ভাই মুহিদ আলম (৩২), বড় ভাই আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও ছোট ভাই পলাতক শামীম আহমদ (২০)।

এক বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দুলাল আহমদ (৩০) ও আয়াজ আলী (৪৫)। আর মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন- মো. ফিরোজ আলী (৫০), মো. আজমত উল্লাহ (৪২) ও রুহুল আমিন রুহেল (২৫)।

১৪ কার্যদিবসের মধ্যে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ের সময় প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ১১ জন উপস্থিত ছিলেন।

একই সঙ্গে শিশু রাজনের মা-বাবাসহ গ্রামের অসংখ্য মানুষ আদালতে হাজির হন। রায়ের পর তারা উল্লাস প্রকাশ করেন।

গত ৮ জুলাই চুরির অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজি বিক্রেতা রাজনকে।

লাশ গুম করার সময় ধরা পড়েন একজন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করে। ফেসবুকে প্রচারের উদ্দেশ্যে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন নির্যাতনকারীরা। পরে সেটি ছড়িয়ে পড়লে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পরপরই পালিয়ে সৌদি আরব চলে গিয়েছিলেন মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম। ইন্টারপোলের মাধ্যমে গত ১৫ অক্টোবর তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

এরপর উপস্থিতিতে মামলার গুরুত্বপূর্ণ ১১ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর একটানা তিন দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

(সংবাদটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে পেইসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)

Post a Comment

Previous Post Next Post