বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, খুনী, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে সরকার অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। জনগণ যখন সরকারের বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, তখন নিজেদের অপরাধ ঢাকতে তারা আরো অপরাধ করছে।
তিনি আজ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাথী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর এক মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর সভাপতি রাশেদুল হাসান রানার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুঈনুদ্দিন মৃধার পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আ হ ম আব্দুল হালিম, সহকারী সেক্রেটারী সেলিম উদ্দিন, সাবেক শিবির সভাপতি ড. রেজাউল করীম, সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
শিবির সভাপতি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে খুন ও গুমে মেতে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনাই শুধু নয়, এর আগেও বারবার রাষ্ট্রীয় বাহিনী একই ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এসবের পেছনে যে সরকারি মদদ রয়েছে, তা জনগণের সামনে স্পষ্ট। বিক্ষুব্ধ জনগণ তাই আজ ফুঁসে উঠেছে। সরকার এখন খুন, গুম থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। চট্রগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর শামসুল ইসলামসহ ২১ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকালও দেশের বিভিন্ন জেলায় জামায়াত-শিবির অসংখ্য নেতাকর্মীকে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণকে এভাবে ভোলানো যাবে না। ছাত্রজনতার কাছে সব প্রমাণ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী কার কার নির্দেশে খুন ও গুমে মেতে উঠেছে, তার রেকর্ড জনগণের কাছে রয়েছে। এদের সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। চলমান রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দায়ে বর্তমান অবৈধ সরকারকে অবশ্যই জবাবদীহি করতে হবে। মাসের পর মাস মেধাবী ছাত্রদের কারাগারে আটকে রেখে ক্যারিয়ার ধ্বংস করা হবে, আর তার কোন বিচার হবে না, তা হয় না। দেশ ও জনগণের শত্রু এই অবৈধ সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মনে করবেন না, যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন, সেভাবেই চলবে। চক্রান্ত যতই করুন, ফলাফল ভাল হবে না। গণগ্রেফতার বন্ধ না হলে পরিণতি ভালো হবে না। ছাত্রজনতার ক্ষোভকে বাড়িয়ে তুললে সেই ক্ষোভের আগুনে আপনারাই পুড়ে মরবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আ হ ম আব্দুল হালিম বলেন, ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা প্রমাণ করেছে তারা ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময়ই তৎপর। শিবির নেতাকর্মীরা ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে পথচলা অব্যাহত রাখলে আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ছাত্রশিবিরের বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশ বিরোধী চক্রান্তের অংশ হিসেবেই সরকার জামায়াত-শিবির দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চক্রান্তকারী সরকার এখন নিজের জালেই আটকে গেছে। তারা যত চক্রান্তই করুক না কেন, জাতির সামনে তাদের মুখোশ ঠিকই উন্মোচিত হয়ে গেছে। জনগণ এই জালিম সরকার থেকে মুক্তি চায়।
(মো. জামাল উদ্দিন)
সহকারী প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।