সেনবাগ: উপজেলার ৪নং কাদরা ও ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়ন থেকে পৃথক ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রীসহ দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পৃথক স্থান থেকে মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন- উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের কানুরচর গ্রামের আবু তাহেরের বাড়ীর জনতুর আলীর ছেলে আবু তাহের (৪০) ও ৪নং কাদরা ইউনিয়নের পুরুষকর গ্রামের নূরুল আমিনের মেয়ে এবং স্থানীয় মগুয়া এম এ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নূর নাহার মালেকা (১৪)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের কানুরচর গ্রামের ব্যবসায়ী আবু তাহের ও অটোরিকশা চালক আলী আকবর এর বিরুদ্ধে পাশ্ববর্তী নজির আহমদের প্রতিবন্ধী তরুণীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনে এলাকায় সালিশি বৈঠক বসে। সালিশে আবু তাহের ও আলী আকবরকে আর্থিক দন্ড এবং শাস্তির রায় দেওয়া হয়। এতে লোক লজ্জায় ঘটনাস্থলে বিষপ্রাণ করেন আবু তাহের।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, সালিশের সময় আবু তাহের একাধিকবার কিছু বলতে চাইলেও তাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বকাজকা করায় মায়ের সাথে অভিমান করে উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের পুরুষকর গ্রামের ও মগুয়া এম এ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নূর নাহার মালেকা নিজেদের ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে দুপুরে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সালিশি বৈঠকে আবু তাহের লোকলজ্জায় বিষপ্রাণ করেছে বলে শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, দৈনিক সেনবাগের কণ্ঠ।