১০০% সাক্ষরতা নিশ্চিতে কাজ করছে ছাত্রশিবির ||

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, সাক্ষর মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে, বাংলাদেশ ততই এগিয়ে যাবে। দেশে শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিত করতে ছাত্রশিবির কাজ করছে।

তিনি মঙ্গলবার ছাত্রশিবিরের সপ্তাহব্যাপী সাক্ষরতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

রাজধানীর এক মিলনায়তনে সকাল ১০টায় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সমাজ সেবা সম্পাদক রাশেদুল হাসান রানার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আনিসুর রহমান বিশ্বাস প্রমুখ।

শিবির সভাপতি বলেন, একটা সময় নিজের নাম লিখতে পারা মানেই ছিল সাক্ষরতা। কিন্তু দিনে দিনে সাক্ষরতার অর্থ বদলেছে। এখন সাক্ষর মানে শুধু বর্ণমালা চেনাই নয়, মানুষের যোগ্যতা, দক্ষতাও এখন সাক্ষরতার অর্থ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার কমেছে। সরকারের জন্য এটি চরম ব্যর্থতা।

আবদুল জব্বার বলেন, সাধারণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যন্নোয়নে সরকার দৃষ্টি দিচ্ছে না বলেই দেশে সাক্ষরতার হার বাড়ছে না। দেশকে এগিয়ে নিতেই সাক্ষরতা হার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, একজন মানুষ সাক্ষর হয়ে উঠলে স্বাভাবিক নিয়মেই তার সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। দেশ ও সমাজের জন্য সচেতন মানুষের বড় প্রয়োজন। এ কথা স্পষ্ট যে, সাক্ষরতার হার বাড়তে থাকলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও কুসংস্কার কমতে থাকবে।

ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততায় পরিপূর্ণ মানুষেরাই বাংলাদেশকে বদলে দেবে।

তিনি ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার লক্ষ্যেই ছাত্রশিবির সপ্তাহব্যাপী সাক্ষরতা অভিযান ঘোষণা করেছে। সাক্ষরতা সপ্তাহে প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে একজন নিরক্ষর ব্যক্তিকে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে তুলবে।
পথশিশু, শ্রমজীবী ও অবহেলিত মানুষদের সাক্ষর করে তুলতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান শিবির সভাপতি।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ছাত্রশিবিরের সাক্ষরতা অভিযান মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post