দেশের বর্তমান অবস্থায় সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না এমন দাবি করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “দেশে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য চলছে। মানুষের জীবন ও সহায় সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই।”
লন্ডনে অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়া বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন,“প্রতিবছর ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা কুরবানির প্রধান শিক্ষা। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়া আমাদের কর্তব্য।
তিনি দাবি করেন, দেশে এক ভয়ংকর নৈরাজ্য,নিরাপত্তাহীনতা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি,পানি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের তীব্র সংকট ইত্যাদি জনজীবনে দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না।
বেগম জিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন,অত্যাচারী সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকের পরিবারে আজ ঈদের দিনেও শোকের মাতম।
তিনি অরো উল্লেখ করেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের মুসলমানরা এক অন্যায় যুদ্ধের মোকাবেলা করছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে সকল মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ওদিকে, বিএনপির সিনিয়ির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও চার্জসিট তৈরির প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। এর মাধ্যমে তারেককে হয়রানির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ‘বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার নয় বলেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করছে এবং আইনের-বেআইনি প্রয়োগের অপচেষ্টা করছে।’
অবিলম্বে এইসব হয়রানি প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে দলটি।
আসাদুজ্জামান রিপন উল্লেখ করেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে যে বক্তব্য দিয়েছেন-সেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর পরিস্থিতির উপর প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধ, পুস্তক এবং রেফারেন্স উল্লেখ করেছিলেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে যদি মামলা হয় ও ‘সেডিশন’ চার্জ গঠন হয়-তাহলে ওসব নিবন্ধ ও পুস্তকের লেখকদের বিরুদ্ধেই হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল।“
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবেন ইউসুফ, বেগম সেলিমা রহমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
www.facebook.com/Voiceofsenbag